হেলাল আহমদ, বালাগঞ্জ (সিলেট):
বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সড়কের একাধিক স্থানে ভয়াবহ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর জানান, সিলেট-৩ আসনের সাবেক এমপি হাবিবুর রহমান ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে নামকাওয়াস্তে সড়কে লেভেল ঠিক না রেখে এবং পর্যাপ্ত কালভার্ট না দিয়ে, সড়কটি উঁচু না করেই দায়সারাভাবে অপরিকল্পিত পাকাকরণের ফলে এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই জালালপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় সড়কটি ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেছে। এতে উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এই এলাকার মানুষের।
চলিত বছরের টানা তিন ধাপের বন্যায় কুশিয়ারা ডাইকের ব্যয়বহুল বালাগঞ্জ শেরপুর সড়কের একাধিক স্থানে ভাঙনের ফলে বালাগঞ্জ শেরপুরের সাথে সম্পূর্ণরূপে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সড়কটির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের জালালপুর অংশে। যারফলে ওই এলাকার মানুষ বালাগঞ্জের সাথে যাতায়াত করতে পারছেন না।
অতিরিক্ত টাকা ও সময় ব্যয় করে বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের সাথে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ রক্ষা করতে হচ্ছে বালাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী রাজনগর উপজেলা হয়ে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, কুশিয়ারা ডাইকের বালাগঞ্জ-শেরপুর সড়কের জালালপুর অংশে চলিত বছরের তিন বারের বন্যায় সড়কটি প্রায় ২০০ ফুট ভেঙে যায়। স্কুল, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও এলাকায় লোকজন যাতায়াতের জন্য পাকা সড়কে বাঁশের সাকো দিয়ে কোন মতে চলাচল করছে তারা। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে হাজারও মানুষ দুর্ভোগ ভোগান্তিতে পড়ছেন। এলাকাবাসীর দাবি অতিদ্রুত যেনো সড়কটি মেরামত করে জনদুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা এলজিইডি সূত্র জানায়, গত মাসে সড়কটির মেরামতের জন্য দুইটি প্রাক্কলন প্রেরণ করা হয় এলজিইডি মন্ত্রনালয়ে। কুশিয়ারা ডাইকের বালাগঞ্জ জিসি-খসরুপুর জিসি-পৈলনপুর সড়কে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ভাঙন, খাল, খন্দ মেরামতের জন্য ১কোটি ২০ লক্ষ এবং বিচ্ছিন্ন হওয়া অংশ মেরামতের জন্য ২০ লক্ষ টাকার দুটি প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত বছরে পৃথক দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাড়ে ১২ কি.মি. এর সড়কটির কাজ করে। ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ৯কোটি ৯৯লাখ ৯২ হাজার ১১৫.৯২৬ টাকায় একাংশ কাজ করে এবং মো. মুহিবুর রহমান এন্ড টাওয়ার এন্টারপ্রাইজ লি. নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ৯ কোটি ৬০ লক্ষ ১৯ হাজার ২৫৬.৪১৮ টাকায় অন্য অংশ কাজ করেছে।
বালাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহ জানান, এ সড়কটির জালালপুর অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উপজেলা থেকে দুইটি প্রাক্কলন পাঠানো হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য তাদের পাঠানো প্রাক্কলন অনুমোদন হয়ে আসলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ করার আহ্বান করবো। আশা করছি অচিরেই জনদুর্ভোগ কমে আসবে।