দেশ

বাবা হওয়ার পর দিন ঘরে মিলল মাদ্রাসা শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ । সময়ের চিত্র

বগুড়ায় মাওলানা শহীদুল ইসলাম (৫৮) নামে সাবেক জামায়াত নেতা ও মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকের উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে নামুজা ইউনিয়নের সরদারপাড়ার শয়ন ঘরে আড়ার সঙ্গে মাফলার দিয়ে ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার তিনি ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন।

পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে সদর থানার এসআই মন্তাজ আলী জানান, মানসিক সমস্যার কারণে ওই শিক্ষক আত্মহত্যা করেছেন। এরপরও মরদেহটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এটি আত্মহত্যা না হত্যা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, মাওলানা শহীদুল ইসলাম বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের সরদারপাড়ার মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন নামুজা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্থানীয় এসএসআই ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার দাখিল বিভাগের আরবি শাখার সহকারী শিক্ষক। এছাড়া তিনি নামুজা পুরাতন হাট মসজিদ ও ভাণ্ডারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের ইমামতি করতেন।

প্রায় দুই বছর আগে স্ত্রী ক্যান্সারে মারা গেলে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এরপর পরিবার থেকে তাকে দ্বিতীয় বিয়ে করানো হয়। গত ছয় মাস ধরে তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।

বৃহস্পতিবার রাতে খাবার পর মাওলানা শহীদুল ইসলাম আলাদা ঘরে ঘুমাতে যান। স্ত্রী পাশের ঘরে সদ্য প্রসূত বাচ্চা ও বোনের সঙ্গে ছিলেন। ফজরের নামাজের সময় মাওলানা শহীদুল ইসলাম ঘর থেকে বের হননি। শুক্রবার সকালে নাস্তার জন্য ডাকতে গেলে ঘরের আড়ার সঙ্গে মাফলার দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরের দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।

এসএসআই ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আবু জাফর জানান, আরবি বিভাগের শিক্ষক মাওলানা শহীদুল ইসলাম গত প্রায় ছয় মাস ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন।

এসআই মন্তাজ আলী জানান, এ ব্যাপারে থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা হয়েছে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button