খালিদ হাসান, বাগেরহাট :
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় পাশাপাশি স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ স্বাক্ষরিত আদেশে ২ অনুষ্ঠানস্থলসহ চারপাশের ১ কিলোমিটার এলাকায় এই আদেশ জারি করা হয়।
জানা যায়, কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকায় উপজেলা বিএনপির জনসভা আহ্বান করায় ও পার্শ্ববর্তী মাজেদা বেগম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিমের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা চলমান থাকবে।
আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়ালমাঠ রসিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ এবং মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং চারপাশের ১ কিলোমিটারের মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সকল ধরনের জনসমাগম, সভা সমাবেশ না করা, আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধসহ ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হল। এই আদেশ জরুরি পরিষেবা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।’
স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে গোয়ালমাঠ এলাকার মাজেদা বেগম কৃষি প্রযুক্তি কলেজ মাঠে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিমকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানার পর দু’দিন আগে পার্শ্ববর্তী গোয়ালমাঠ রসিক লাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে কচুয়া উপজেলা বিএনপি জনসভা করার ঘোষণা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের উত্তেজনা বিরাজ করছে। সহিংসতা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
ইউএনও কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘উভয় অনুষ্ঠান স্থলই অত্যন্ত নিকটবর্তী স্থানে। একাধিক গোয়েন্দা তথ্য এবং উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনায় অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’