বলধরা ইউপি সচিব ও সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সেলিম মোল্লা ও ৬নং ওয়ার্ড সদস্য আজাদের বিরুদ্ধে এক অন্তস্বত্ত্বা নারীর গর্ভবতী কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠছে। তবে টাকা নিয়েও কার্ড না করে দেয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই ইউনিয়নের আটকুড়িয়া গ্রামের রামপ্রসাদ টিকাদারের পুত্র সুজন টিকাদার। মঙ্গলবার (২১ মে) ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি এই অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্র জানা যায়, সুজন টিকাদার তার ভাবী ঝুমা সরকার গত ১ বছর পূর্বে অন্তস্বত্ত্বা হওয়ায় গর্ভবতী কার্ড করার জন্য বলধারা ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করেন। আবেদনের কয়েক মাস পর বলধারা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সেলিম মোল্লা ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ এর মাধ্যমে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডাকেন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদে গেলে আজাদ মেম্বার গর্ভবতী কার্ড করার জন্য তার নিকট ৩হাজার টাকা দাবি করেন। কার্ড করার আশায় তিনি ওই মেম্বারের দাবি পুরণ করেন। এরপর সচিবের কাছে গেলে কার্ড করতে ২হাজার টাকা লাগবে বলে জানান। ভুক্তভোগী সেই টাকাও প্রদান করেন। টাকা প্রদানের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলে কার্ড না হওয়ায় তিনি গত সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সচিব জানান কার্ডটি পেতে আরো ৭/৮ মাস সময় লাগবে।

অভিযোগে সুজন টিকাদার আরো বলেন, সরকারি নিয়মানুযায়ী গর্ভবর্তী কার্ড পেতে আবেদনের তারিখ হতে ৩ মাস সময় লাগার কথা। কিন্তু সচিব ও মেম্বার আমার নিকট হতে টাকা নিয়ে গড়িমসি করিয়া দীর্ঘ ১ বছরের অধিককাল পর্যন্ত আমাকে কার্ড প্রদান না করিয়া আরো ৭/৮ মাস সময় চায়। এতে আমার সন্দেহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সেলিম মোল্লা ও মেম্বার আজাদ আমার ভাবীর গর্ভবতী কার্ড প্রদান না করিয় আমার প্রদানকৃত ৫হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সেলিম মোল্লা টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, তার কার্ড গত ২১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। আমাকে ফাসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

তবে কার্ডের বিষয়ে কিছুই জানেননা বলে জানান ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আজাদ।

এ বিষয়ে সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, বিষয়টা জেনেছি, অভিযোগ পত্র এখনো হাতে পায়নি। ঘটনা যাই ঘটে থাকুক তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর