জাতীয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব-মোস্তাফা জব্বার

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের নতুন লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার চূড়ান্ত পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তিনি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চলমান সংগ্রাম এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা জন্য সকলকে সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী শনিবার ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ২০২২ সালের বার্ষিক সাধারণ সভা উপলক্ষ্যে সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

প্রকাশনা শিল্পের সাথে ডিজিটাল প্রযুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কম্পিউটার ছাড়া প্রকাশনা সম্ভব নয়। ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটার সাধারণের নাগালে পৌঁছে দেন। এর ফলে দেশে সূচিত হয় ডিজিটাল বিপ্লবের অভিযাত্রা। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি গ্রহণ ও এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে উল্লেখ করেন ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রনায়ক।

মন্ত্রী আরো বলেন, প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকেও পৃথিবীতে বাংলা অক্ষর, বাংলা ভাষা এবং বাংলা প্রকাশনা বাংলাদেশেই টিকে থাকবে। নিজের হাতে ১১০টি বাংলা ফন্ট তৈরি এবং কী বোর্ডের ২৬টি বোতামে যুক্তাক্ষরসহ ৫৪০টি অক্ষর সন্নিবেশ করে বাংলাভাষাকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে রূপান্তরের কাজটি খুবই দুরূহ হলেও করতে পেরেছি সেটাই আমার জীবনের বড় সফলতা। সফলতার এই পথ বেয়ে সিসার অক্ষর বিদায় করে কম্পিউটারে বাংলা পত্রিকা প্রকাশ বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতের ঐতিহাসিক অর্জন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় পুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পদ্ধতিরও পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কাগজের বইয়ের পাশাপাশি এখন ডিজিটাল বই প্রকাশ হচ্ছে এবং অনলাইনে তা বিক্রিও হচ্ছে। পৃথিবীর পরিবর্তনের সাথে প্রকাশক ও বিক্রেতাদেরও পরিবর্তন হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তিকে নিজের প্রয়োজনে এবং নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে হবে। তিনি পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মন্ত্রী এই ব্যাপারে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, প্রকাশনা শিল্পকে কেবল শিল্প হিসেবে নয় শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা ওসমান গণি প্রমুখ বক্তৃতা করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল।

পরে মন্ত্রী সংগঠনের স্মার্ট সফটওয়্যারের উদ্বোধন করেন এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির মুখপত্র ‘পুস্তক’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। এর আগে তিনি বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

 

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button