দেশ

পুলিশ ভেরিফিকেশনের নামে ১২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক যুবক আটক 

দিনাজপুর প্রতিনিধি: 

এসবি পুলিশ পরিচয়ে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে সারাদেশ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আশিকুর রহমান আশিক (২৬) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত আশিকুর রহমান আশিক দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর কাউয়াপাড়া গ্রামের মোঃ মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার শাহ্ ইফতেখার আহমেদ।

তিনি জানান, এসবি ও ডিএসবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে সেবা প্রত্যার্শীদের কাছ থেকে গত ৬ মাসে প্রতারণার মাধ্যমে সোয়া ১২ লাখ ২২ হাজার ৯৪ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আশিক। তার মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিমের আইএমইআই চেক করে ৩০ থেকে ৪০টি সিমের নম্বর পাওয়া যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সেবাপ্রত্যাশীদের কাছে এসবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ভেরিফিকেশন বাবদ টাকা গ্রহণ করতো একটি প্রতারক চক্র। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, রাজশাহীসহ সারাদেশে তারা প্রতারণা করে আসছিল। একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে সেই চক্রের অন্যতম সদস্য আশিকুর ইসলাম আশিককে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আশিক জানান, তিনি ই—পাসপোর্ট বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার গ্রুপে যুক্ত হয়ে গ্রুপে ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত পোস্ট বিশ্লেষণ করে কৌশলে সেবা প্রত্যাশীদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পাসপোর্ট আবেদনপত্রের কপি থেকে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করতেন। এরপর এসবি ও ডি এসবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোন, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন ও পজিটিভ পুলিশ রিপোর্ট দাখিলের কথা বলে মোবাইল অ্যাকাউন্টে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাবি করতেন। তার কথায় বিশ্বাস করে সেবা প্রত্যার্শীরা নগদ, রকেট ও বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করেন। এভাবে সেবা প্রত্যাশীর কাছ থেকে কয়েক দফায় টাকা নেওয়ার পর সেবা প্রত্যাশীর মোবাইল ফোন নম্বরটি ব্লক করে দিতেন আশিক। তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুর্বলা এলাকার বাসিন্দা খালেদুর রহমান একটি অভিযোগ করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, গত ৬ মাসে নগদ ও রকেটের মাধ্যমে সোয়া ১২ লাখ ২২ হাজার ৯৪ টাকা টাকা আত্মসাৎ করেছেন আশিক। তার মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত সিমের আই এমই আই চেক করে ৩০ থেকে ৪০টি সিমের নম্বর পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দিনাজপুর কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন, কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা, উপ—পরিদর্শক (এসআই) শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button