খুলনা প্রতিনিধি:
খুলনা মহানগরীতে এক পুত্রবধূর বিরুদ্ধে বসত ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগত টাকা ও স্বর্ন লুটের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মহানগরীর ৪ নং রেল কোলনী এলাকায়। এঘটনায় গত ০৩ অক্টোবর বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলী আদালত ‘খুলনা” অঞ্চলে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন সায়েমা বেগম। যেটির তদন্তে পিবিআই।
মামলায় আসামীরা হলেন, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট চরচান্দিয়ার হায়দার ব্যাপারীর মেয়ে মুসলিমা আক্তার (১৯), হায়দার ব্যাপারী (৬০) ও মুনজিলা বেগম (৫৪)।
মামলা সূত্রে জানাযায়, সায়েমা বেগমের গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে গোসল করতে যাওয়ার সময় পুত্রবধূ মুসলিমা আক্তার তার পিতা-মাতাসহ ৫/৬ জন অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে আকষিকভাবে র আসবাবপত্র ভাংচুর শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে পুত্রবধূ মুসলিমা আক্তারের হুকুমে সন্ত্রাসীরা সায়েমা বেগমের ঘাড় ধরে কিল-ঘুশি মেরে টানতে টানতে ঘরের বাইরে নিয়ে দড়ি দিয়ে বেধে ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে নগদ দুই লক্ষ টাকা, এক জোড়া ৫ আনা ওজনের স্বর্নের কানের দুল, কাপড়, অনন্যা স্বর্ণের জিনিস ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। হুমকি দিয়ে বলে আমাদের কাজে বাধা দিলে জানে মেরে ফেলব।
মামলা সূত্রে আরও জানাযায়, তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে আসামীগন দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং আসামীগন যাওয়ার সময় বলে যায় আজকের ঘটনার বিষয়ে কাউকে জানাইলে তোকে মেরে ফেলব। স্থানীয় থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেয়। অবশেষে আত্মীয় স্বজনের সহিত আলোচনা কারিয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যেটির তদন্তে পিবিআই।
বাদী সায়েমা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমারা পুত্রবধূকে মা ছাড়া ডাকি না। সব দিক থেকে ভালো রেখেছিলাম কখনো মনে হয়নি আমাদের সাথে সে এমন করবে। আমার ঘরে থাকা টাকাপয়সা, সোনা, মোবাইলসহ সকল দামী জিনিস নিয়ে আমাদের মারধর করে চলে গেছে। আমরা নিরুপায় সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।
সায়েমা বেগমের স্বামী এস এস ফকির বলেন, আমরা পুত্রবধূকে মেয়ের মতোই রাখতে চেয়েছিলাম কিন্ত সে সকল জিনিস নিয়ে আমাকে লাথি মেরে চলে গেছে। আমরা এর বিচার চাই।