নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের পরিবর্তে সরাসরি সংস্থাটির সাথে কাজ করতে চায় সরকার এবং সে জন্য সংস্থাটিকে চিঠি দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন আঞ্চলিক পরিচালক নিয়োগ করে। আগে তার সাথে লিয়াঁজো মেইনটেইন করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার চাইছে যে, যাতে তার সাথে লিয়াঁজো না করে সরাসরি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে কথা বলা যায় কি না।’
তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল পতিত স্বৈরাচারী সরকারের পরিবারের সদস্য এবং তিনি এখন বাংলাদেশের সহায়তায় কতটুকু আসবেন সেটাই প্রশ্নবোধক বলে মনে করেন তারা। এক প্রশ্নের জবাবে ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন এটি একটি নৈতিকতার ইস্যু।
তিনি বলেন, ‘ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম এবং কিছু অপরাধে তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন। তার অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। বিএফআইইউ তদন্ত করছে। তার মাধ্যমে কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না।’
তিনি বলেন, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে সরাসরি কাজ করতে চান এবং সংস্থাটিকে বলেছেন যে এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেয়া হয় সেটা যেন সরকারকে দ্রুত জানানো হয়।
বিফিংয়ে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
প্রসঙ্গত, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বর্তমান পরিচালক এবং এ অঞ্চলের আঞ্চলিক অফিস ভারতের নয়াদিল্লিতে।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ তার পরিবার ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে বহু মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। এসব মামলার মধ্যে কয়েকটিতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে আসামি করা হয়েছে।