প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে গণমাধ্যমকে প্রাতিষ্ঠানিকরণ এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা অনন্য। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত গণমাধ্যম বিষয়ক প্রশিক্ষণ এবং প্রোগ্রাম পরিচালনায় ইতোমধ্যেই প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ পিআইবি সুনাম অর্জন করেছে। সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত বিষয়ে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সুনামধন্য অধ্যাপক দ্বারা প্রশিক্ষণ এবং প্রোগ্রাম পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে টানা চতুর্থবারের মতো মহাপরিচালক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছেন একুশে পদপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক কবি জাফর ওয়াজেদ। পিআইবি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গণমাধ্যম কর্মীরা স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন করেছেন। শুধু গণমাধ্যম কর্মীরাই ডিগ্রী নিয়েছেন তা নয় বিভিন্ন শ্রেণী-পেশা থেকে আগত শিক্ষার্থীরা এখান থেকে ডিগ্রি লাভ করেছেন। গণমাধ্যমের প্রতি অনুরাগ এবং সাংবাদিকতা সম্পর্কে কৌতুহল নিবৃত্ত করতেই হয়তো তাদের এই পদক্ষেপ।
বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ এবং দায়িত্বশীল নাগরিক প্রস্তুত করতে হবে। তবেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সহজতর হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অটুট এবং টেকসই করার ক্ষেত্রে প্রতিটি সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমি বিশ্বাস করি, পিবজা এক্ষেত্রে অগ্রণী এবং নেতৃত্বদানকারী সংগঠনে পরিণত হতে পারে। পিবজা পরিবারের কমবেশি সবাই স্বনির্ভর এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত। তাই সকল দুর্নীতি এবং অন্যায়ের ঊর্ধ্বে থেকে সংগঠন এবং রাষ্ট্রের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। একটি আদর্শিক এবং মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হোক এই প্রত্যাশা করছি। জয় বাংলা।
লেখক:ড.দিপু সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ জার্নালিজম এলামনাই অ্যাসোসিয়েশন (পিবজা), সম্পাদক-ডেইলি প্রেসওয়াচ।ডিন: ফ্যাকাল্টি অব আর্টস এন্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস রয়েল ইউনিভার্সিটি ঢাকা।