পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় পালটেছে জনজীবনের চালচিত্র

মো. হাবিবুল আলম

 

সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি। এশিয়ায় ভারত, চীন, তাইওয়ান, জাপান ও মালয়েশিয়ায় আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএম খোরশেদুল আলম বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের নির্ধারিত মানদ- মেনেই এখানে বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে এবং কার্বন ও সালফার নিঃসরণের মাত্রা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। ঢাকনাযুক্ত কোল ইয়ার্ড ব্যবহার করার ফলে বাতাসের মাধ্যমে খোলা কয়লার গুঁড়ো ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ কম। ফলে পরিবেশ দূষণের শঙ্কাও নেই।

 

 

উল্লেখ্য, সরকারের বিদ্যুৎ খাতে ২০১৬ সালের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় আমদানি ও নিজস্ব গ্যাসে ৩৫ শতাংশ, আমদানিনির্ভর কয়লায় ৩৫ শতাংশ; তেল, বিদ্যুৎ আমদানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বাকি ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড়ো সাফল্য এসেছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার যে দেশগুলো তাদের জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশ এবং ৭৪ শতাংশকে বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যও তাই বলছে। তাদের মতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২০২৩ সালের জুনে ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট ছিল।

 

তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা আমদানি কম হওয়ায় সংকটের অভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে সামনের দিনগুলোয় বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো অসম্ভব হয় পড়বে। সাধারণ মানুষ যেমন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তিতে পড়বে, এর পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজগুলোয়ও এর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

এই বিভাগের আরো খবর