দেশ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতায় খুদখালী ভেড়ি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ

মোঃ বাবুল সানা, খুলনা:

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা ও গাফিলাতির কারণে গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালী গ্রামের খুদখালী নামক স্থানের ভেড়ি বাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ,অত্র এলাকার ভিতরে উক্ত ভেড়ি বাঁধটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়াই এই রাস্তা দিয়ে শত শত মোটর গাড়ি, নসিমন, ভ্যান ও লোকজন চলাচল করে।
এই রাস্তাটি তে যখন প্রথম ভাঙ্গন সৃষ্টি হয় তখন সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট সোহরাব আলী সানা এবং সাবেক গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভাঙ্গন কবলিত স্থানের ভিতর দিয়ে একটি বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হয়, পরবর্তীতে যখন ঐ স্থানে আবারও ভাঙ্গণের সৃষ্টি হয় তখন সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট শেখ মো: নুরল হক সাহেব এবং সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস এর প্রচেষ্টায় রাস্তা টি পুনরায় মেরামত করা হয়, এবং স্থায়ীভাবে ভাঙ্গন রোধ করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মোঃ নুরুল হক সাহেব ডি,ও, লিটার দেন ও বিভিন্ন দফ্তরে যোগাযোগ করেন, যার ফলশ্রুতিতে বছর খানেক আগে জাইকার অর্থায়নে এই রাস্তার কাজ শুরু হয়, কিন্তু ডিজাইন জটিলতার কারণে কাজ শুরু করেও বর্তমানে কাজ বন্ধ আছে,
গত মার্চ/এপ্রিল ২০২৩ সালে রাস্তাটি যখন আবারো ঝুঁকিপূর্ণ হয় তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড জাইকার অর্থায়নে চলমান কাজের ঠিকাদার আর-রাদ কর্পোরেশনকে দিয়ে আরেকটি বিকল্প ভেড়িবাধ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় যে স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু তার ভাগ্নে স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব আকতারুজ্জামান বাবুর প্রভাব খাটিয়ে আর-রাদ কর্পোরেশনের নিকট থেকে দশ লক্ষ টাকার চুক্তিতে ঐ খুদখালীর বিকল্প ভেরি বাধের কাজটি তিনি নিজেই শুরু করে দেন, ধীর গতিতে কাজ করার জন্য এবং শ্রমিকদের পেমেন্ট ঠিকমতো না দেওয়ার কারণে শ্রমিকরা অন্যত্র চলে যায়, এবার চেয়ারম্যান বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে কাজটি শেষ না করে বন্ধ করে দেন, আর-রাদ কর্পোরেশনের নিকট থেকে ইতিমধ্যে ছয় লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বিল গ্রহণ করেছে কাজ শুরু করার কথা বলে ২/১দিনের ভিতর আবারো ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে, দুঃখের বিষয় রাস্তার কাজটি ৪০ শতাংশের বেশি হয় নাই, এই রাস্তাটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে আর যদি ভেঙে যায় তাহলে মানুষের হাজার হাজার বিঘার জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাবে, ঘরবাড়ি, পুকুর পানিতে ডুবে তিন-চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে যাবে, তাই এলাকাবাসী রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
পাশাপাশি চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম কেরুর এই গাফিলতির কারণে বৃষ্টির দিনে হাজার হাজার মানুষের যে ভোগান্তির সৃষ্টি করেছেন তার জন্য এলাকাবাসি সহ সচেতন মহল তারও শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button