নিজস্ব প্রতিবেদক:
৪১ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেনের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া দুই শর্তে তার জামিন বহাল রাখা হয়েছে।
বুধবার এ বিষয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের আদালত এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, এই মামলায় জাকিরকে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট জামিন দেন। ওই জামিনের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। শুনানি শেষে দুই শর্তে তার জামিন বহাল রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো বিচারিক আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না।
খুরশীদ আলম খান আরও জানান, কেনিয়ায় থাকা অবস্থায় ৪১ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক অর্থপাচার করার অভিযোগ উঠেছে জাকিরের বিরুদ্ধে। সেই টাকা জব্দ করেছে দুদক। ১৫ কোটি টাকার ওপরে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এর আগে ১৪ মার্চ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৫ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলের অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে ২৯ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
জাকির হোসেন ১৯৯২ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। তিনি ১৯৯৫ সালে কুয়েত দূতাবাসে এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কেনিয়ার নাইরোবিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।