
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভাগীয় নির্বাচনী জনসভা। সেখানে নিরাপত্তার কাজে বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের ছয়টি বাস প্রয়োজন। এ জন্য রাস্তায় যাত্রী নামিয়ে চারটি বাস রিকুইজিশনে করছে পুলিশ।
দুপুর একটা। কোলের বাচ্চা আর স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে উদ্ববাস্তুর মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন দিনাজপুরের আনোয়ার হোসেন। যাবেন কর্মস্থল ময়মনসিংহে, কিন্তু পথেই বগুড়ার তিনমাথা এলাকায় রিকুইজিশনের জন্য তাদের বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
বগুড়া শহরের তিনমাথা নিরালা পাম্প এলাকার প্রথম বাইপাসে গিয়ে বৃহস্পতিবার এমন ঘটনা দেখা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিভাগীয় নির্বাচনী জনসভা। সেখানে নিরাপত্তার কাজে বগুড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের ছয়টি বাস প্রয়োজন। এ জন্য রাস্তায় যাত্রী নামিয়ে চারটি বাস রিকুইজিশনে করছে পুলিশ।
স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত আনোয়ার বলেন, ‘প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে পুলিশ সদস্যরা আমাদের বাসটি রিকুইজিশন করে নিয়ে গেছে। বাসে প্রায় অর্ধশত যাত্রী ছিল, সবাইকে নামিয়ে দিয়েছে।’
রিকুইজিশন হওয়া আরেকটি বাসে ঠাকুরগাঁও থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমি একা রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে। বাসায়ও বলার সাহস পাচ্ছি না। জানতে পারলে আব্বু-আম্মু হয়তো দুশ্চিন্তা করবে। উনারা সরকারি কাজে গাড়ি জব্দ করবে ভালো কথা, তবে এইভাবে মাঝপথে কেন? ‘
এ নিয়ে বগুড়ার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মাহাবুবর রশিদ বলেন, ‘রাজশাহীতে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী আসবেন। সেখানে নিরাপত্তার কাজে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ছয়টি বাস প্রয়োজন। এর মধ্যে চারটি রিকুইজিশন করা হয়েছে। ’
মহাসড়কের মাঝপথে বাস রিকুইজিশনে করার কথা স্বীকার করে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সাময়িকভাবে কিছু অসুবিধা হয়েছে যাত্রীদের, তবে পরবর্তীতে আমরাই তাদের বাসে উঠিয়ে দিয়েছি। মহাসড়ক ছাড়া টার্মিনালে গিয়ে বাস রিকুইজিশন করা সম্ভব হয় না। সেখানে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে সহযোগিতা করে না।’