নড়াইলে দলিল লেখক বরকত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

কাজী ইমরান:

নড়াইলের লোহাগড়ায় দলিল লেখক এস এম বরকত আলী (৬০) হত্যা ঘটনায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২অক্টোবর) সকালে নড়াইল আদালত সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ইতনা ইউনিয়নের পাংখারচর এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন। এ সময় নিহত বরকতের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন, মেয়ে ফারজানা খানম ও ভাগ্নে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কাজী জাহিদুর রহমান ও সাজ্জাদুর রহমান পলাশ বক্তব্য দেন।

বক্তরা বলেন, হত্যাকারীরা জামিনে মুক্ত হয়ে আমাদের জিম্মি করে ফেলেছেন। আমরা এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি চাই। আসামীরা নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে।যাতে আমরা মামলা তুলে ফেলি। এমনকি মানববন্ধনে এসেও হুমকি দিচ্ছে। খুনিরা যেন কোনভাবেই ক্ষমা না পায়। আমরা আমাদের পরিবারের নিরাপত্তার দাবী জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, পুলিশ এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনদের সুত্রে জানা যায়, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাংখারচর গ্রামের এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেবের সাথে একই গ্রামের কেরামত মোল্লা ওরফে কুমি জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব  চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা বিদ্যমান থাকায় আদালত লোহাগড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার (২৯আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে বিরোধপূর্ণ জমির সমাধানের জন্য ভূমি অফিসের নায়েব পংকজ কুমারের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ দক্ষিন পাংখারচর গ্রাম চৌরাস্তা বাজার সংলগ্ন দাই পাড়া সমাজসেবা ক্লাবে  সালিশে বসেন। জমির কাগজপত্র দেখার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে কেরামতের ছেলে নেপাল ও রকির নেতৃত্বে রুনু, হামীম, আমীন সহ ১০/১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে এস এম বরকত আলী ওরফে সাহেবকে হত্যা করে।

এ হত্যা কান্ডে নিহতের স্ত্রী ফাতেমা খানম বাদী হয়ে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) ১২ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং ০১/১৯১)

এ মালায় এপর্যন্ত ১২ আসামির মধ্যে ৪ জন গ্রেফতার ও ৫ জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তারা নড়াইল জেলা কারাগারে আটক আছে।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নাসির উদ্দীন জানান, দলিল লেখক বরকত হত্যা মামলায় ১২ জনের মধ্যে ৪ জন জেল হাজতে আটক রয়েছে! জামিনে আছে ৪ জন, অন্যান্য পলাতক আসামিদের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

 

 

 

 

এই বিভাগের আরো খবর