অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সম্পর্কে তদন্ত চায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পৃথিবীতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে বুধবার ‘আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ’ দিবস পালন উপলক্ষে প্রতিবেদনে বিভিন্ন সময় নিখোঁজ ব্যক্তিরা কোথায়, কী অবস্থায় আছে তা তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেয়ার ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এশিয়ার সিনিয়র গবেষক জুলিয়া ব্লেকনার বলেন, বাংলাদেশে জোরপূর্বক নিখোঁজে ব্যক্তিদের পরিবারগুলোর কষ্ট শুধু বাড়ছেই। সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সরকারের উচিত আটক ব্যক্তিদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া। পাশাপাশি একটি স্বাধীন কমিশন খোলা, যেখানে জাতিসংঘের সাথে এক হয়ে এমন গুমের ঘটনা বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবে সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স এগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয় তাতে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস বলে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশি মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ৬০০ জনকে জোরপূর্বক গুম করা হয়েছে। আদালতে হাজির করার পাশাপাশি যদিও কিছু লোককে পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে অনেকেই মারা গেছেন, এছাড়াও প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
তবে বাংলাদেশ সরকার বরাবরই গুমের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গুমের অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেছেন, যাদের বিরুদ্ধে গুম হওয়ার অভিযোগে ওঠে, তাদের অনেকেই ঋণ বা বিভিন্ন কারণে স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হন। পরে আবার তারা ফিরে আসেন।