নান্দাইল চৌরাস্তা- কিশোরগঞ্জ সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি জনদুর্ভোগ চরম
নিজস্ব প্রতিনিধি (ময়মনসিংহ) :
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তায় অসংখ্য বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গর্তের মধ্যে বিভিন্ন যানবাহনের চাকা আটকে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া মালবাহী যানবাহন গর্তে আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সীমাহীন দুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই।
তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন ওই মহাসড়কের পাকা রাস্তায় নামমাত্র ইট ও ইটের টুকরো দিয়ে গর্ত ভরাট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা, ইট দিয়ে সংস্কারের পরপরই বৃষ্টির পানি পড়ে ও যানবাহনের চাকায় পৃষ্ট হয়ে তাৎক্ষণিক গুঁড়ো হয়ে যাচ্ছে। ফলে গর্ত গর্তই থেকে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সড়কের অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি কার্পেটিং ও ইট-খোয়া উঠে জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। কখনও কখনও কাদাপানি জমে থাকা গর্তে যানবাহন আটকে গিয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কখনও চলছে ধীরগতিতে। ফলে যাত্রী ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানটি থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আব্দুস সাত্তার ও বাসচালক হায়দার আলী বলেন, বড় বড় গর্তের কারণে যানবাহন নিয়ে চলতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। গর্তের মধ্যে বিভিন্ন যানবাহনের চাকা আটকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া মালবাহী যানবাহন গর্তে আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কাবিল মিয়া বলেন, কাদাপানিতে তাদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের ভাষ্য, কাদাপানিতে এলাকাটি সবসময় নোংরা থাকায় পথচারীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিষয়টি অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি করে।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, এখানে ড্রেন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাতে বাঁধা দেন। বিষয়টি নিয়ে তারা উচ্চ আদালতে গিয়ে রিটও করেছেন। তবে সড়কের এ অংশটুকু ঢালাই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে, দরপত্রও হয়ে গেছে। ঢালাই হয়ে গেলে পানি জমলেও সড়কের কোনো সমস্যা হবে না।