নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় খুন হয়েছেন একেএম আব্দুর রশিদ (৮২) নামের এক প্রবাসী চিকিৎসক। গত সেপ্টেম্বরে স্ত্রী সুফিরা রশিদসহ যুক্তরাজ্য থেকে দেশে বেড়াতে এসেছিলেন এই দম্পতি।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ধানমন্ডি-১৫ এর ২৯৪১ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে শুক্রবার ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, নিহত আব্দুর রশিদের বুকে, মুখে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
পাঁচতলা ওই ভবনটির মালিক আব্দুর রশিদ। দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ছাড়া ভবনের সবগুলো ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আব্দুর রশিদ ও সুফিরা রশিদ দম্পতি পেশায় চিকিৎসক ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী। তারা প্রতি সেপ্টেম্বরে দেশে এসে ধানমন্ডির নিজ বাসায় কয়েকমাস থেকে চলে যেতেন। তাদের পরিবারের সবাই প্রবাসী।
আব্দুর রশিদকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ভাড়াটিয়া সাইদুর রহমান বাঁধন বলেন, তারা (রশিদ দম্পতি) গত সেপ্টেম্বরে দেশে আসেন, রাতে হঠাৎ চিৎকারে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। পরে তাদের রুমে গিয়ে দেখি আব্দুর রশিদ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন এবং তার স্ত্রী মাথায় পানি ঢালছেন। তখন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।
হামলাকারীরা ‘ডাকাতি করতে এসেছিল’ এমন ধারণার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ধারণা করছি বাইরে থেকে কোনো লোক বাসায় ঢুকেছিল। আশপাশের লোকজনের চিৎকার শুনে তারা পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে হাজারীবাগ থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভোর রাত তিনটার দিকে বারান্দার দরজা খোলা রেখেই আব্দুর রশিদ নামাজ পড়ছিলেন। তখনই তিনজন বারন্দার সামনের লন বেয়ে উঠে বাসায় ঢুকে পড়ে। পরে তিনজনকে আবার পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, চুরি করতে তারা বাসায় ঢুকেছিল। ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাদেরকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।