দেশ

তালায় অনলাইন জুয়াতে নিঃস্ব শত শত পরিবার

খুলনা অফিস : সাতক্ষীরার তালায় আনাছে কানাছে জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া ‘ওয়ানএক্সবেট’। সম্প্রতি মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ বা অনন্য ব্যবসার অন্তরালে অধিকাংশ দোকানিরা অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকেন। তালা উপশহরে কয়েক ডজন অনলাইন জুয়ার এজেন্টের নাম মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এজেন্টদের মূল টার্গেট এখন স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষর্থীরা। মাস্টার এজেন্ট সাব এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে এই অনলাইন জুয়ার ব্যবসা চালু রাখেন। এতে একদিকে যেমন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী জুয়াতে আসক্ত হচ্ছে অন্যদিকে এলাকার আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।

 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী কিংবা চাকরিজীবী সকলে আসক্ত এই ভয়ংকর নেশা অনলাইন জুয়ায়। অনলাইন জুয়ার অন্যতম মাধ্যম ওয়ানএক্সবেট নামের একটি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম। অ্যাপস থেকে খোলা একাউন্টে নির্দিষ্ট এজেন্টের মাধ্যমে ঢুকানো হচ্ছে টাকা। মাদকের মতো এই নেশাতেও জড়িয়ে পড়ছে যুব সমাজ। অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব অনেকে এখন ঋণের দায়ে ঘরবাড়ি ছাড়া। জানা যায়, সম্প্রতি তালা উপজেলায় অনলাইন জুয়া বিস্তার লাভ করায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন এবং তা নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানান। সূত্রে আরও জানা যায়, ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন এলাকাবাসিদের নিয়ে সচেতনামূলক সভা শুরু করেছে।

অনলাইন জুয়ার বিষয়ে উপজেলা নাগরিক কমিটির নেতা মীর জিল্লুর রহমান বলেন, দ্রুত এই অনলাইন জুয়া বন্ধ করা না গেলে এর কঠিন ফল ভোগ করতে হবে নিজেদের। তাই আমি বলবো সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদ জানানো উচিত।

 

এ বিষয়ে খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রনব ঘোষ বাবলু বলেন, সাম্প্রতিক কালে খলিলনগর ইউনিয়ন সহ তালা উপজেলায় চুরি, অনলাইন জুয়া মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্ধেগ জনক ভাবে কিশোররাও বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে । এ সব অপরাধ দমনে এবং যুব অবক্ষয় রোধে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। জনগণ কে সচেতন করতে পারলে অনলাইন জুয়া বাল্যবিবাহ ইভটিজিং চুরি মাদকের মতো অপরাধ সমূহ দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সে লক্ষ্যে খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ দল মত র্নিবিশেষে সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করা একান্ত প্রয়োজন । সমাজে যার ইতি বাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

তালায় অনলাইন জুয়াতে নিঃস্ব শত শত পরিবার। ব্যুরো প্রধান খুলনা :- সাতক্ষীরার তালায় আনাছে কানাছে জালের মতো ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া ‘ওয়ানএক্সবেট’। সম্প্রতি মোবাইল ফ্লেক্সিলোড ও বিকাশ বা অনন্য ব্যবসার অন্তরালে অধিকাংশ দোকানিরা অনলাইন জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকেন। তালা উপশহরে কয়েক ডজন অনলাইন জুয়ার এজেন্টের নাম মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব এজেন্টদের মূল টার্গেট এখন স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষর্থীরা। মাস্টার এজেন্ট সাব এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে এই অনলাইন জুয়ার ব্যবসা চালু রাখেন। এতে একদিকে যেমন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী জুয়াতে আসক্ত হচ্ছে অন্যদিকে এলাকার আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হচ্ছে বলে ধারণা করছেন সচেতন মহল।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উঠতি বয়সী স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শ্রমজীবী কিংবা চাকরিজীবী সকলে আসক্ত এই ভয়ংকর নেশা অনলাইন জুয়ায়। অনলাইন জুয়ার অন্যতম মাধ্যম ওয়ানএক্সবেট নামের একটি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম। অ্যাপস থেকে খোলা একাউন্টে নির্দিষ্ট এজেন্টের মাধ্যমে ঢুকানো হচ্ছে টাকা। মাদকের মতো এই নেশাতেও জড়িয়ে পড়ছে যুব সমাজ। অনলাইন জুয়ার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব অনেকে এখন ঋণের দায়ে ঘরবাড়ি ছাড়া। জানা যায়, সম্প্রতি তালা উপজেলায় অনলাইন জুয়া বিস্তার লাভ করায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন এবং তা নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানান। সূত্রে আরও জানা যায়, ইতিমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন এলাকাবাসিদের নিয়ে সচেতনামূলক সভা শুরু করেছে।

অনলাইন জুয়ার বিষয়ে উপজেলা নাগরিক কমিটির নেতা মীর জিল্লুর রহমান বলেন, দ্রুত এই অনলাইন জুয়া বন্ধ করা না গেলে এর কঠিন ফল ভোগ করতে হবে নিজেদের। তাই আমি বলবো সর্বস্তরের মানুষের প্রতিবাদ জানানো উচিত।

এ বিষয়ে খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক প্রনব ঘোষ বাবলু বলেন, সাম্প্রতিক কালে খলিলনগর ইউনিয়ন সহ তালা উপজেলায় চুরি, অনলাইন জুয়া মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্ধেগ জনক ভাবে কিশোররাও বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে । এ সব অপরাধ দমনে এবং যুব অবক্ষয় রোধে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। জনগণ কে সচেতন করতে পারলে অনলাইন জুয়া বাল্যবিবাহ ইভটিজিং চুরি মাদকের মতো অপরাধ সমূহ দমন ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সে লক্ষ্যে খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ দল মত র্নিবিশেষে সকল জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে সচেতনতা মূলক কর্মসূচি পালন করা একান্ত প্রয়োজন । সমাজে যার ইতি বাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। যারা জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে তাদের তালিকা করে ধরার চেষ্টা করছি।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। প্রাথমিক ভাবে বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছি। যারা জুয়ার মাস্টার এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে তাদের তালিকা করে ধরার চেষ্টাকরছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button