দেশ

তালতলীতে ভিজিডির তালিকায় শিক্ষকের স্ত্রীর নাম

আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা ।।

বরগুনার তালতলী উপজেলার মেনিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের স্ত্রীর নাম দুস্থদের জন্য দেওয়া ভিজিডির (ভালনার‍্যাবেল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট) নাম রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। । স্বচ্ছল এই পরিবার প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল তুলে নিচ্ছে। এ অনিয়ম এবং দুনর্ীতির ঘটনা ঘটেছে বড়বগী ইউনিয়নে।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ সেলিম। তিনি মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। তিনি এই ভিজিডি চালও তুলে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তালুকদারপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র সোলায়মানের স্ত্রী খাদিজা বেগম বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ করছেন। সেখানে তিনি দাবি করেন তার পরিবার হতদরিদ্র। তার তিনটি সন্তান রয়েছে। আয়-রোজগার করার কোনো উপায় নেই। তিনি ভিজিডি কার্ডের আবেদন করেও কার্ড পাননি। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীরা ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন।

তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া গ্রামের সালমা বেগমের নামে একটি ভিজিডি কার্ড রয়েছে। তার সিরিয়াল নম্বর ৪২। তার নামে ২০২৩-২৪ সালের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ইস্যুকৃত কার্ডে ভিজিডির চাল পাচ্ছেন তিনি। সালমা বেগমের পরিবার বেশ স্বচ্ছল। স্বামী মেনিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহনেওয়া সেলিম।

সালমা বেগমের স্বামী শাহ নেওয়াজ সেলিম বলেন, আমি সরকারি চাকুরীজীবী এটা ঠিক। আমার স্ত্রীর নামে ভিজিডি কার্ড আছে। ভিজিডির তালিকায় আমার স্ত্রীর নাম দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মুন্সী।

বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এমরান হোসাইন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই কার্ড বাতিলের জন্য রেজুলেশন করে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। এবিষয়ে বড়বগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মুন্সী বলেন, ভুলবসত শিক্ষক শাহনেওয়াজের স্ত্রীর নাম অন্তভূক্ত হয়েছে। বিষয়টি জানার পর ওই শিক্ষকের স্ত্রীর নাম ভিজিডির তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই কার্ড বাতিল করে একজন অস্বচ্ছল ব্যাক্তির নাম অর্ন্তভূক্ত করার জন্য বলা হয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button