নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সদ্য নিয়োগ পাওয়া চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, তদন্তকালেই মানবতাবিরোধী অপরাধের আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবে রাষ্ট্রপক্ষ।
আজ রোববার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে যোগ দিয়ে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তাঁর সঙ্গে বাকি প্রসিকিউটররাও আজ যোগ দিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে দ্রুতই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শেখ হাসিনার বিচারের ফরমাল তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। তবে শুধু শেখ হাসিনা নয় এই গণহত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত ছিল সবার বিরুদ্ধেই আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, জুলাই মাসে যেই গণহত্যা হয়েছে এর প্রমাণ বিভিন্নভাবে ধ্বংস করা চেষ্টা করা হচ্ছে। এটিকে সংরক্ষণ করে আইনি কাঠামোর মধ্যে নিয়ে এসে মামলাগুলো প্রমাণের যেই কাজ সেটি এখন আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এসব প্রমাণাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে গণহত্যা বিচার প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা মাত্র দায়িত্ব নিয়েছে। খুব দ্রুত গণহত্যার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করবো। যেনো আলামত নষ্ট না হয় আর যারা সম্ভাব্য আসামি তারা যেনো আইনের বাহিরে চলে যেতে না পারে, দেশ ছেড়ে চলে যেতে না পারে। কোর্ট বসলে শেখ হাসিনাসহ সম্ভাব্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাইবো।
এর আগে, বৃহস্পতিবার নতুন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামসহ বাকিদের নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। শনিবার রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম অ্যাটর্নি জেনারেলের সমমর্যাদা ভোগ করবেন। তাজুল ইসলাম ছাড়াও ট্রাইব্যুনালে আরও চার আইনজীবীকে প্রসিকিউটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা হলেন—মিজানুল ইসলাম (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদা), গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল), বি এম সুলতান মাহমুদ (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল), আব্দুল্লাহ আল নোমান (সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল)।