তজুমদ্দিনের চরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু,  কজন আটক

তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি।। 
ভোলার তজুমদ্দিনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরমোজাম্মেলে এক গৃহবধুর রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যদের দাবী তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
১৯ মার্চ মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে চরমোজাম্মেলের দুলাল বাজার এলাকার জুয়েলের বসত ঘর হতে আকসা ওরফে ইকরা (২১) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় তজুমদ্দিন থানায় নিহতের পিতা আব্বাস হাওলাদার বাদী হয়ে স্বামী জুয়েল (২৭),  শাশুড়ী মোর্সেদা (৫৫), ভাশুর সোহেল (২৯) ও জা- আরজু (২৩) কে আসামী করে ২০ মার্চ বুধবার সকালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। লাশ উদ্ধারের পর হতে পরিবারের সদস্যারা পালাতক রয়েছে।  পরে পুলিশ বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর আড়াইটায় চরমোজাম্মেল হতে মামলার ৩ নম্বর আসামী ও ভাশুর সোহেলকে আটক করে কোর্টে প্রেরণ করেন।
অভিযোগ ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ইকরা উপজেলার কেয়ামুল্যা গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডের আব্বাস হাওলাদারের মেয়ে। ৮ মাস আগে বিয়ে হয় চরমোজাম্মেলের দুলাল বাজার এলাকার রফিজলের ছেলে জুয়েলের সাথে। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে বনিবনা না হওয়ায় বিভিন্ন সময় নিহত ইকরা কে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ রয়েছে। মোবাইল ফোনে জানানো হয় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আমার মেয়ে মারা গেছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি গলায় ওড়না পেছানো রয়েছে। তখন আবার জানানো হয়, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের আত্মহত্যার বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহ হওয়ায় আমি আমার মেয়ের লাশ দেখি এবং তার গলায় বাম পাশে থুতনির নিচ দিয়া কালো দাগ আছে এবং গলার ডান পাশে থুতনির নিচে সামান্য কালো দাগ ও তার গলার নিচের অংশে নখের আঁচড়ের দাগ দেখিয়া আমি নিশ্চিত হই উল্লেখিত বিবাদীরা আমার মেয়েকে নির্যাতন করিয়া হত্যা করিয়াছে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক বলেন, তজুমদ্দিনের চর মোজাম্মেল এক গৃহবধূর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার অভিযোগে সন্দেহজনক একজনকে আটক করা হয়েছে।
এই বিভাগের আরো খবর