
আরিফ হোসেন:
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জেলে পাড়ার মানুষগুলোর চোখে-মুখে নীরব আর্তনাদ। বলা যায় এবার জেলেদের ঈদ আনন্দ কাটবে অন্যান্য বছরের তুলনায় একটু ভিন্নভাবে। কারন পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণ নিষেধ। তাই বেকার বসে রয়েছে জেলেরা। অধিকাংশ জেলের হাতে নেই কোন অর্থ। সংসার চালানো দায়। স্ত্রী ও সন্তানের জন্য ঈদের নতুন পোষাক কিনতে পারিনি জেলেরা। চলছে আহারের জন্য হাহাকার। মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার বেতুয়, ঘোষেরহাট, সামরাজ সুলিজ, মেঘভাষান, বকশি ও খাজুরগাছিয়াসহ বিভিন্ন মৎস্য ঘাট ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, করোনার পর থেকে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে জেলেরা লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এদিকে বিভিন্ন সময়ে নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। বিভিন্ন এনজিও থেকে ধারদেনা করে চলতি বছরে প্রতিটি ট্রিপে লোকসান গুনতে হয়েছে জেলেদের।
চরফ্যাসন উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, চরফ্যাসন উপজেলাতে জেলে রয়েছে প্রায় ৯০ হাজার। এর মধ্যে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৪ হাজার ২৮১ জন। অনিবন্ধিত প্রায় ৬৪ হাজার।
মেঘভাষন ঘাটের জেলে হোসেন মাঝি জানান, তিন বছর ধরে নদী থেকে তেমন আয় আসেনা তার। বেশিরভাগ সময়ে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের ফলে এই বছরে লোকসানে আছে। পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই নদীতে মাছ ধরা বন্ধ। ঈদের আর পাঁচদিন বাকি আছে ছেলে-মেয়েদের এখনও নতুন জামা-কাপড় কিনে দিতে পারিনি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, এই উপজেলাতে জেলেদেরকে ভিজিএফ চাল দেওয়া হয়েছে। তবে কোন অর্থের বরাদ্ধ নেই।