জুমাতুল বিদা’র মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ১৪৪৪ হিজরির শেষ জুমাবার ছিল। মুসলিম উম্মাহর কাছে একটি পবিত্র দিন আজ। প্রতি সপ্তাহের জুমার দিনের স্বতন্ত্র অনেক ফজিলত রয়েছে। শুক্রবারকে মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। রমজানের প্রতিটি জুমা ফজিলত ও তাৎপর্যের দিক থেকে অনন্য। আর বিদায়ী জুমা হিসেবে জুমাতুল বিদার মর্যাদা ও ফজিলত আরও বেশি।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে খুতবায় জুমাতুল বিদার তাৎপর্য তুলে করে বক্তব্য দেন খতিব। পরে নামাজ আদায় এবং মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ জাতির কল্যাণ কামনা ছাড়াও বিশ্বশান্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনা করা হয়। এছাড়া রোজায় তাকওয়ার যে চর্চা হয়েছে, বাকিটা বছর মুসল্লিরা যেন সেই চর্চা করতে পারেন মোনাজাতে সে দোয়াও করা হয়।

ইমামের সঙ্গে মহান আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনা করেন হাজারো মুসল্লি। তাদের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে বায়তুল মোকাররম মসজিদ।

রমজানের শেষ জুমার দিন হওয়ায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বেলা ১১টা থেকেই মুসল্লিরা আসতে থাকেন। প্রচণ্ড খরতাপ উপেক্ষা করে বিভিন্ন গেট দিয়ে মুসল্লিরা নামাজের জন্য প্রবেশ করতে থাকেন।

বেলা একটা বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদের ভেতর। মসজিদে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে দেখা যায়। অনেকে উত্তর গেটের বাইরের সিঁড়ি ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন।

রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে পালন করেন মুসলিমরা। ইহকাল ও পরকালের মুক্তি কামনায় আজ সারাদেশে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালিত হচ্ছে।

বি‌শেষ ফজিলতময় জুমার জামাতে সাধারণ জামাতের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মুসল্লি অংশ নেন।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবারে জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা তারই ধারাবাহিকতায় এদিন জুমার নামাজের পর নফল নামাজ আদায় করেন ও বিশেষ দোয়া করেন।

এই বিভাগের আরো খবর