সাজু আহমেদ : ‘দস্যু বনহুর’খ্যাত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমান আর নেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা যান তিনি। শিল্পী সমিতির সাভপতি মিশা সওদাগর, সাংবাদিক আহমেদ তেপান্তর তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অঞ্জনা রহমান রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) টানা দশদিন ধরে অচেতন অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। কিন্তু তার উন্নতি না হওয়ায় ১ জানুয়ারি বুধবার রাতে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১টা ১০ মিনিটে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিতসকরা। জানা গেছে, অঞ্জনা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আজ সকাল ১১ টায় তার মরদেহ বিএফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বাদ জহর প্রথম জানাজার পর তেজগাঁও চ্যানেল আই এ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজার আজ বনানী কবরস্থানে অঞ্জনার মরদেহ দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত অভিনেত্রী অঞ্জনা ১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘সেতু’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। একই বছর সোহেল রানার বিপরীতে ‘দস্যু বনহুর’ সিনেমায় অভিনয় করেন। সিনেমাটি সুপার হিট হয়। ক্যারিয়ারে তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। বাংলাদেশ ছাড়াও ৯টি দেশের ১৩টি ভাষার সিনেমায় অভিনয় করেন অঞ্জনা। অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো ‘মাটির মায়া’, ‘অশিক্ষিত’, ‘চোখের মণি’ ও ‘সুখের সংসার’, ‘জিঞ্জির’, ‘অংশীদার’ ও ‘আনারকলি’, ‘বিচারপতি’, ‘আলাদীন আলীবাবা সিন্দাবাদ’, ‘অভিযান’, ‘মহান’ ও ‘রাজার রাজা’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘রাম রহিম জন’, ‘নাগিনা’, ‘পরীণিতা’ প্রভৃতি। অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আন্তর্জাতিক পুরস্কার, একাধিক জাতীয় স্বর্ণপদক, একাধিক বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন। পরিচালক আজিজুর রহমান বুলিকে অঞ্জনা বিয়ে করেন। সেসময় তিনি মুসলমান হন। নায়িকা অঞ্জনার প্রয়াণে বিনম্র শ্রদ্ধা।
এই বিভাগের আরো খবর