চিতলমারীতে ৬টি চিংড়ি ঘেরে বিষ প্রয়োগ-লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ লুট

 

চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬টি মৎস্য ঘেরে বিষ দিয়ে লাখ লাখ টাকার চিংড়ি মাছ নিধন করেছে দুবৃর্ত্তরা। ব্যাংকের লোন আর ধার দেনার ভার মাথায় নেয়া ওই সকল চিংড়ি চাষীরা এখন হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এই অপূরণীয় ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা তাদের দুঃসাধ্য ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে এমনটি জানিয়েছেন তারা।

এ ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চর বানিয়ারী ইউনিয়নের খুদাড়ী গ্রামে ।

সরেজমিনে, খুদাড়ী গ্রামের প্রশান্ত হালদার জানান ২ অক্টোবর (সোমবার), ওই বিলে তার আড়াই বিঘার একটি চিংড়ি ঘের থেকে গভীর রাতে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি লুটে নিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। সকালে পানিতে ভেঁসে ওঠা অগনিত চিংড়ি ও বিষের বোতল ঘের পাড়ে দেখতে পান তিনি।

চিংড়ি চাষী আশীষ হালদার জানান, প্রশান্ত হালদারের পাশেই তার ২২ কাঠার একটি চিংড়ি ঘের রয়েছে। একই রাতে বিষ দিয়ে তার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার চিংড়ি মাছ লুটে নিয়েছে ওই চক্রটি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় চিংড়ি চাষী বিপ্লব হালদার বলেন, একই বিলে তার ১৫ কাঠার একটি চিংড়ি ঘের আছে। কিছু দিন আগে বিষ দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি মাছ নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বিপ্লব আরো জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে স্থানীয় চিংড়ি চাষী নিত্যা নন্দ হালদার, রনজিত হালদার, বিমল খা, শান্ত পান্ডে সহ ৬জন চিংড়ি চাষীর ঘেরে বিষ প্রয়োগ করা হয়।

এছাড়া গত ১৯ আগস্ট রাতে স্থানীয় দানোখালী গ্রামের দীপঙ্কর মন্ডলের ১২ বিঘার একটি ঘেরে বিষ দিয়ে ২০ লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি ও সাদা মাছ লুট করা হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষতির পরিমান লাখ লাখ টাকা বলে ভুক্তভোগিরা জানান।

এব্যপারে রাজশাহী পুলিশ সেন্টারে কর্মরত পুলিশ সুপার (এসপি), সুব্রত কুমার হালদারের ভাই, খুদাড়ী গ্রামের অধিবাসী ও শিক্ষক হিমাংশু কুমার হালদার বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চিংড়ি চাষীর অনেকে আমার বংশের লোক। তারা ধার দেনা ও লোন করে ঘের-বেড়ি, করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় একটি চক্র বারবার ঘেরে বিষ দিয়ে তাদের সর্বশান্ত করতে মরিয়া হয়ে লেগেছে। এলাকাবাসী এর প্রতিকার চায়। এই দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে, শাস্তির আওতায় আনা হোক এটাই প্রত্যাশা করছি।

 

এই বিভাগের আরো খবর