দেশ

গোদাগাড়ী সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে কিশোর আহত

সেলিম সানোয়ার পলাশ, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্তে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বিএসএফ এর গুলিতে আহত হয়েছে ১৪ বছরের এক কিশোর।বিএসএফের গুলিতে আহত ওই কিশোরের নাম ওবায়দুল্লাহ ওরফে রাইফ (১৪)। সে গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চর হাজির মোড়ের বাসিন্দা গোলাম রসুলের ছেলে।

ঘাস কাটতে গিয়ে না বুঝে সীমান্ত ছেড়ে ভারতের মাত্র ১০ ফুট ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল ১৪ বছরের এক কিশোর। তাকে ফিরে যেতে বলে বাংলাদেশি এ কিশোরকে পেছন থেকে পায়ে গুলি করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সোমবার (৮ মে) দুপুরে গোদাগাড়ী সীমান্তের চর আষাড়িদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

গুলিবিদ্ধ কিশোর বহু কষ্টে বাড়ি ফেরার পর তাকে সোমবার (৮ মে) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাতেই তার পায়ে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে পায়ে গুলি পাওয়া যায়নি। বিএসএফের গুলি ওই কিশোরের পায়ের মাংস ছেদ করে চলে গেছে। বর্তমানে হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ওই কিশোরের চিকিৎসা চলছে।

রাইফ এর পিতা গোলাম রসুল জানান, সোমবার রাতে তার ছেলের পায়ে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে পায়ের ভেতর গুলি পাওয়া যায়নি। তার ছেলের বাঁ পায়ের রানের মাংসে গুলি ছেদ করে বেরিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, সীমানা বুঝতে না পেরে গরুর জন্য ঘাস কাটতে কাটতে ভারত সীমানার মাত্র ১০ ফুট ভেতরে ঢুকে গিয়েছিল আমার ছেলে। ছোট মানুষ হিসেবেও ক্ষমা পায়নি। আর এই অপরাধেই আমার ছোট ছেলের পায়ে গুলি চালিয়েছে বিএসএফ। তারা রাইফকে চলে যেতে বলে পেছন থেকে পায়ে গুলি করে। সোমবার দুপুরের এই ঘটনার পর ওই অবস্থায় অনেক কষ্টে সে বাড়ি ফেরে। পরে তাকে জরুরিভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তার ছেলের অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানান তার পিতা।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ হলেও ওই কিশোর বর্তমানে শঙ্কামুক্ত। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আর সীমান্ত এলাকার ঘটনা হওয়ায় বিজিবি বিষয়টি দেখছে।

এ বিষয়ে বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাব্বির আহমেদ জানান, ওই কিশোর অজ্ঞতাবশত ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে ফেলেছিল। তবে বয়স বিবেচনায় এভাবে গুলি করা তাদের (বিএসএফ) উচিত হয়নি। তারা এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক করে প্রতিবাদ জানাবেন। এছাড়া একটি প্রতিবাদ চিঠিও পাঠাবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button