আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধে বিধ্বস্ত গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গাজার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকে তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
মঙ্গলবারের (৩১ জানুয়ারি) বৈঠকে ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, ‘আমার নিজের অভিজ্ঞতার কারণে আমি বিশ্বাস করি যে যুদ্ধ কোনো সমাধান আনে না। যুদ্ধ আরও, আরও ঘৃণা, আরও যন্ত্রণা, আরও ধ্বংস ডেকে আনে। তাই আসুন শান্তি বেছে নেয়া যাক এবং রাজনৈতিকভাবে এই সমস্যাটির সমাধান করি।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গেব্রেয়াসুসও যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করেছেন। ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত চলা যুদ্ধের সময় বাঙ্কারে সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান।
গাজায় বর্তমানে প্রচণ্ড ক্ষুধার পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘চেক পয়েন্টের আশপাশে অহেতুক দেরি করার কারণে মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে দেরি হচ্ছে। এটি গাজার মানুষের চরম হতাশার কথা তুলে ধরে, যারা প্রচণ্ড ক্ষুধাসহ নারকীয় পরিস্থিতিতে বাস করছে।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজা প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় নিহতের সংখ্যা এখনো ক্রমেই বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৫১।
একই সময়ে, ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬৫ হাজার ৬৩৬ জন। এ ছাড়া ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। এই সময়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি প্রায় ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জিম্মি করে আনে।