দেশ

গাইবান্ধার গিদারীতে পৈত্রিক জমি জবর দখলের চেষ্টা

থানায় অভিযোগ দায়ের

গাইবান্ধার সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামে পৈত্রিক জমির কাজে বাঁধা প্রদান এবং জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ জাহিদুলগংদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের মৃত.সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এর পুত্র সিদ্দিকুর রহমান ও মৃত. আবুল কাশেম এর পুত্র জাহিদুলগংদের সাথে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

বার বার জমির পরিমাপ করা হলেও মানছেন না প্রতিপক্ষ জাহিদুলগংরা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিষয়টি মিমাংসা করে সীমানার খুঁটি দিলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে জাহিদুলগংরা তা উপরে ফেলে এবং পরবর্তীতে তারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। চলতি সালের ৩ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জমি পরিমাপের জন্য আমিনের সীদ্ধান্ত মোতাবেক খুঁটি দিলেও পরবর্তীতে এ নিয়ে প্রতিপক্ষ জাহিদুল,মুসা,লিটুগংরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ, বেআইনি জনতায় দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিদ্দিকুরের বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে। সেই সাথে রক্তাক্ত জখমসহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এতে করে সিদ্দিকুরের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় দিনাতিপাত করছেন।

সঠিক বিচার এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য গত ০৮-০৪-২৩ ইং তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী সিদ্দিকুর রহমান।

জানা যায়, কিশামত ফলিয়া গ্রামের নতুন দাগ নং- ৬৪৪ (ভিটা),১০২০(ডোবা),১০২১(ডোবা),খতিয়ান নং-৩৭৫, জেএল নং-১১২, পুরাতন দাগ নং-১৪৭৯ (ভিটা),১৮৯৭(ডোবা),১৮৯৬(ডোবা) খতিয়ান ১৯৬২ সালের রেকর্ডকৃত।

স্থানীয় নুরু সর্দার বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে সার্ভেয়ার দিয়ে জমির মাপামাপি করে খুঁটি দিলেও পরবর্তীতে খুঁটি উপরে ফেলে প্রতিপক্ষরা। প্রকৃতপক্ষে সিদ্দিকুর রহমান জমি পাবে। বিষয়টি নিয়ে নানাভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন জাহিদুল,মুসা,লিটুগং।

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আবু হানিফ বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সচেতন মহল বলছেন, বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে। সিদ্দিকুর রহমানের পরিবারেরা একটি মসজিদ কমিটি ও মাদ্রাসা কমিটিতে আছেন। সাদামাটা ব্যক্তি বলেই কমিটিতে থাকা সম্ভব হয়েছে। তবে এই জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় তাঁরা খুব ভীতসন্ত্রস্তভাবে দিনাতিপাত করছেন। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button