মেহেদী হাসান, খুলনা :
খুলনা জেলা সহ বিভাগের ৬ জেলায় তদারকিমূলক অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা—অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় ও আওতাধীনস্থ জেলা কার্যালয়। শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোক্তা অধিকারের ৭টি দল এই অভিযান পরিচালনা করে। এসময় বিভাগের বিভিন্ন জেলার ১৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ৮২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী, চাল, ঔষধ, ডায়াগনস্টিক, আলু, দেশি পেয়াজ, মুরগির বাজার ও ডিমের বাজার দর ও ক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয় এবং সকল ব্যবসায়ীকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়ালিদ বিন হাবিব এর নেতৃত্বে খালিশপুর থানার নেভীগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার ও অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসনিমের নেতৃত্বে সদর উপজেলার চুড়ামনকাঠি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৮ হাজার জমিমানা করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে কলারোয়া উপজেলার বাকাল, ইটাগাছা, কাঠিয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ঝিনাইদহ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের এর নেতৃত্বে কলারোয়া উপজেলার ট বাজার, বাঘাযতিন সড়ক , হামদহ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো মামুনুল হাসান এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার জগদল, আমুড়িয়া ও কুল্লিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে ০৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল এর নেতৃত্বে সদর উপজেলার বল্লতপুর মোড় ও আইলচারা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ০৩ টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং কেউ সরকার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি মূল্য নিলে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। অভিযান কালে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বাজার তদারকি ও জরিমানা করা হয়।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়—বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেয়া হয়। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।