মেহেদী হাসান, খুলনা :
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মাজারুল আনোয়ার ও ট্রেজারার সরোয়ার আকরাম আজিজের অনিয়ম, সীমাহীন দুর্নীতি, দলীয়করণ, এবং শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহারের জন্য পদত্যাগের দাবিতে তার কক্ষে তালা ঝুলিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুরে সোনাডাঙ্গাস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘জেগেছেরে জেগেছে, খুলনার কৃষির ছাত্রসমাজ জেগেছে, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা, হই.হই রই রই রেজিস্ট্রার মাজারুল আনোয়ার ও ট্রেজারার সরোয়ার আকরাম আজিজ গেলি কই, ছাত্রলীগের রেজিস্ট্রার ও ট্রেজারার কৃষির চাকরি ছাড়’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। তারা রাজনীতিমুক্ত ছাত্র সমাজ গড়ার দাবি জানান।
কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের হুমকি ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।এতে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার (শাহজাহান)-এর সহযোগিতা করেছেন। এমনকি তিনি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের ১৬ জুলাই স্মারক পত্র মোতাবেক কোন সিন্ডিকেট মিটিং করা ছাড়াই ভিসি ও রেজিস্ট্রার ছাত্রদের হল ত্যাগের আকস্মিক নির্দেশনা জারি করে।আন্দোলন চলাকালীন ছাত্রদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় না রেখে কোন সিন্ডিকেট মিটিং ছাড়াই ভিসি ও রেজিস্ট্রার জোরপূর্বক হল ত্যাগে বাধ্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ডক্টর সারোয়ার আকরাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে তাই স্টেশনারি কিনার ভাউচার দিয়ে তাদেরকে টাকা দিয়েছি।
রেজিস্টার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারকে তার মুঠো ফোনে কল দিলে সে ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, এত তার সীমাহীন দুর্নীতি ও বাহিরের বলয় দ্বারা শিক্ষক পরিষদের নেতা দ্বারা আমাকে বাধ্য করত। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এই বিভাগের আরো খবর