খুলনা প্রতিনিধি:
লন্ডন প্রবাসী শেখ মহিতুর রহমান। খুলনা মহানগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার ১১নং রোডের ১৬৫ নং প্লটের মালিক। ঐ প্লটের ৩ তলা বাসাটিতে কেউ না থাকায় কেয়ার টেকার হিসেবে তার শ্বাশুড়ী গুলশান আরা বেগমকে থাকতে দেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তার স্ত্রী অন্য আরেকজনের সাথে চলে যাওয়ায় তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। স্ত্রী’র সাথে বিচ্ছেদ হলেও ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আরাফাত রহমান সানির সহায়তায় শেখ মহিতুর রহমানের শ্বাশুড়ী গুলশান আরা বেগম এখনো বাসাটি দখল করে আছেন। বাসার নাম পরিবর্তন করে পুরানো ভাড়াটিয়া নামিয়ে তোলেন নতুন ভাড়াটিয়া। বাসা ছাড়তে বলায় হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাকে। প্রবাসী শেখ মহিতুর রহমান নিরুপায় হয়ে খুলনা সদর থানায় সাবেক শ্বাশুড়ী গুলশান আরা বেগমের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা যায়, শেখ মহিতুর রহমান লন্ডন প্রবাসী। তিনি নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার ১১নং রোডের ১৬৫ নং প্লটের মালিক। কেউ না থাকার সুযোগে কেয়ার টেকার হিসেবে তার সাবেক শ্বাশুড়ী ওই বাসায় থাকেন। শেখ মহিতুর রহমানের সাথে তার স্ত্রী’র বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু তার সাবেক শ্বাশুড়িকে তার বাসা ছেড়ে দিতে বললে তিনি ছাড়তে নারাজ। উল্টো তিনি তার বাসার নাম পরিবর্তন করেন। বাসার পুরানো ভাড়াটিয়া নামিয়ে দিয়ে নতুন ভাড়াটিয়া তোলেন। বাসাভাড়ার টাকা নিজে ভোগ করছেন। তার সাবেক (শ্বাশুড়ী) গুলশান আরা বেগমকে বাসা ছেড়ে দিতে বললে তিনি আরো উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আরাফাত রহমান সানির সহায়তায় তিনি এসব অপকর্ম করছেন।
সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, খুলনায় যুবলীগ নেতা আরাফাত রহমান সানির সহায়তার তার যুবলীগ বাহিনীর ক্ষমতায় প্রবাসীর বাড়ি দখল করে রাখা হয়েছে। শেখ মহিতুর রহমান লন্ডন প্রবাসী। তিনি নগরীর ১১নং নিরালা আবাসিক এলাকায় ১৬৫ নং প্লটের মালিক। কেউ না থাকার সুযোগে কেয়ার টেকার হিসেবে তার সাবেক স্ত্রীর মা ( শ্বাশুড়ী) ওই বাসায় থাকেন। শেখ মহিতুর রহমানকে ছেড়ে তার স্ত্রী ২৩ সালের ডিসেম্বরে আরেকজনের সাথে চলে যায়। তার সাথে শেখ মহিতুর রহমানের বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু তার সাবেক শ্বাশুড়িকে তার বাসা ছেড়ে দিতে বললে তিনি ছাড়তে নারাজ। উল্টো তিনি তার বাসার নাম পরিবর্তন করেন। বাসার পুরানো ভাড়াটিয়া নামিয়ে দিয়ে নতুন ভাড়াটিয়া তোলেন। বাসাভাড়ার টাকা নিজে ভোগ করছেন। তার সাবেক (শ্বাশুড়ী) গুলশান আরা বেগমকে বাসা ছেড়ে দিতে বললে তিনি আরো উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। ২৬নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আরাফাত রহমান সানির সহায়তায় তিনি এসব অপকর্ম করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক শাশুড়ি গুলশান আরা বেগমকে ফোন করে বাসা ছেড়ে দেয়ার কথা বললে তিনি বাসা না ছাড়ার কথা বলেন। একই সাথে শেখ মহিতুর কে নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। না হলে জীবনে বাঁচতে পারবে না বলে জীবননাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে জানতে সাবেক যুবলীগ নেতা সানির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে জানা যায় তিনি পলাতক জীবন-যাপন করছেন।
সম্প্রতি নিরালা আবাসিক এলাকার ১১নং রোডের ১৬৫ নং প্লটের বাড়িতে যেয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লন্ডন প্রবাসী শেখ মহিতুর রহমান বলেন, আমি দেশে ফিরে আমার বাড়ি উঠতে পারছিনা এখন আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। আওয়ামী লীগ সরকার থাকতে আমাকে নানাভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশে আসতে দেয়নি। আর এখন কোন প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাইলে তারা বলছে আমাদের লিমিটের বাইরে। আমার দলিলকৃত বাড়িতেই আমি থাকতে পারছি না। বাড়ি ছাড়তে বললে আমাকে জীবন নাশের হুমকিও দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি খুলনা সদর থানায় জিডি করেছি। এ বিষয়ে জানতে সাবেক যুবলীগ নেতা সানির সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে জানা যায় তিনি পলাতক জীবন-যাপন করছেন।
খুলনা সদর থানার এসআই মোঃ সাইদুর রহমান সাধারণ ডায়েরি’র সত্যতা নিশ্চিত করে মুঠোফোনে বলেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।