মেহেদী হাসান, খুলনা :
‘আগামী প্রজন্মকে সক্ষম করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন করা হয়।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট দুর্যোগেও আমরা কষ্ট পাই। কিছু মানুষের দায়িত্বহীন আচরণ অনেকের জন্য ভোগান্তি নিয়ে আসে। নদীর কূল ভরাট করা ও খাল আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি করার মতো মন্দ কাজ বন্ধে অনেক কিছু করার আছে। মনে রাখা দরকার, সমস্যা যতটা প্রকট সমাধানে ততটাই সক্রিয় হতে হবে। তিনি আরও বলেন, খুলনার বিল ডাকাতিয়ায় জলাবদ্ধতার কারণে অনেক কৃষিজমি পানির নিচে রয়েছে। এসমস্যা সমাধানে শোলমারি নদীর মুখে পলি সরাতে দুটো ড্রেজার কাজ করছে এবং বরিশাল থেকে হেভিডিউটি পাম্প এনে কাজে লাগানো হয়েছে। একই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এসমস্যা সমাধানে প্রায় ৫০ কোটি টাকার একটি স্কিম অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সংকট থেকে উত্তরণের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তবে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে পেরে ওঠা কঠিন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিতান কুমার মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মোঃ আসিফ ইকবাল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোঃ ফারুক হোসেন সিকদার, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধি মোঃ তৌফিকুল ইসলাম, জেজেএস এর মোঃ মামুনুর রশিদ ও মানবাধিকারকর্মী মোঃ আব্দুল হালিম বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিম।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা কালেক্টরেট চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এছাড়া বয়রা পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্পকালে রক্ষা পাওয়ার উপায় নিয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
এই বিভাগের আরো খবর