খুলনা প্রতিনিধি:
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের চিকিৎসা সেবার সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান ৫০০ শয্যার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে সিলিং ফ্যান ও সুইচ নষ্ট হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। উপরে সিলিং ফ্যান থাকলেও সাম্প্রতকি সময়ের এই গরমে সেটা কোনো কাজে আসছে না। ত্রুটি থাকায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বেশির ভাগই পাখা এতটাই আস্তে চলে যে বাতাস পাওয়া যায় না। রোগীদের কেউ কেউ নিজেদের কেনা ফ্যান এবং হাত পাখার মাধ্যমে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন। এছাড়াও হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডের একাধিক লাইট ও সুইচ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা আক্ষেপ নিয়েই বলেন, প্রচণ্ড গরমে ফ্যানের বাতাস না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ‘ফ্যান না থাকায় রোগীদের পাশাপাশি তাদের স্বজনরাও কষ্ট পাচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে টেবিল ফ্যান নিয়ে এসেছেন অনেকে।
এদিকে হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায় ফ্যান ঠিক করছেন এক ইলেকট্রিশিয়ান তিনি বলেন, যেখানে অভিযোগ পাই আমরা সাথে সাথে সেগুলা ঠিক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করি।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৫০০। তবে হাসপাতালে প্রতিদিনই ভর্তি রোগী থাকছে প্রায় তিন গুণ। প্রয়োজনের তুলনায় কম শয্যা থাকলেও রোগীদের বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছে এ হাসপাতালকে। একই সাথে ফ্যান, লাইট ও সুইচ সঠিক ভাবে ব্যবহার না করায় নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ হুসাইন শাফায়াত। তবে বিভিন্ন ওয়ার্ডের একাধিক ফ্যান, লাইট ও সুইচ নষ্টের কথা শিকার করে তিনি বলেন, রোগীর চাপ কমলে সব কিছুই ঠিক থাকবে। দুই মাস আগে বেশ কিছু ফ্যান পরিবর্তন করা হয়েছে। আরও কিছু ফ্যানের বাজেট দিয়েছি আশাকরি দ্রুত সে গুলোও পেয়ে যাব।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বারান্দায় থাকা রোগীদের গরম নিবারণের জন্য তাদের একমাত্র ভরসা নিজের কেনা ছোট টেবিল ফ্যান অথবা হাত পাখা।
এই বিভাগের আরো খবর