খাগড়াছড়ির সহিংস ঘটনায় নিহত ৩

পাবর্ত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি:

 

খাগড়াছড়ির সহিংস ঘটনায় ৩ নিহত ও ২০ জনের মতো আহত হয়েছে । এর মধ্যে ধন রঞ্জন ত্রিপুরা গত বৃহস্পতিবার দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা গেছেন। অপর দুইজন রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা নামের দুই পাহাড়ি যুবক খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নারানখাইয়া এলাকায় ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছে।

 

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা নিহতের লাশ হাসপাতালে আছে বলে নিশ্চিত করেছেন ।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটেছে। এতে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে প্রায় শতাধিক দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বর্তমানে পুরো জেলার জনমনে আতংক ও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খাগড়াছড়ি জেলা সদর ,দীঘিনালা ও পানছড়িতে নিরাপত্তাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে ।

 

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নোয়াপাড়া এলাকায় একটি মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে গনপিটুনিতে নিহত মামুন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বৃহষ্প্রতিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতা। বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পাহাড়ী ছাত্র জনতার সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত ঘটে। পরে তা দুই পক্ষে মধ্যে সংঘাতও সহিংসতায় রূপ নেয়।

 

এ সময় গোলাগুলিতে ধন রঞ্জন ত্রিপুরা নিহত ও প্রায় ১০ থেতে !৫ জনের মত আহত হয় ।এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। এতে পুড়ে যায় অন্তত ১শত টির মত দোকান পাট ও বসত বাড়ী । অপর দিকে ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নারানখাইয়া এলাকায় ব্রাশফায়ারে রুবেল ত্রিপুরা ও জুরান চাকমা নামের দু পাহাড়ী যুবক ব্রাশফায়ারে নিহত হয়েছে। এ সময় আরো ৫ জন আহত হয়েছে ।

 

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন,বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ,সেনাবাহিনী ,বিজিবি কাজ করছে। আগুন নেভানো কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। এই ঘটনায় ৫ জন আহত হয়েছে বলে জানায় ইউএনও।

 

তিনি আরো জানান, সেনাবাহিনী- বিজিবি-পুলিশ- সবাই মিলে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা করছি। ।

এই বিভাগের আরো খবর