কোটা উঠিয়ে লটারির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে: গণপূর্ত উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজউকের প্লট বরাদ্দে সব কোটা উঠিয়ে দিয়ে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে লটারির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দ দেয়ার কথা জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজউক ভবনে ‘বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৪ উপলক্ষে তরুণদের সম্পৃক্ত করি, উন্নত নগর গড়ি’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, তরুণদের কথা বলার জায়গা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। আজকে সে সুযোগটা আমরা পেয়েছি, সে সুযোগটা যেন আমরা মিস না করি। আমরা যতটা পারি সে পরিবর্তনের শুরুটা করে দিয়ে যাবো।

উপদেষ্টা বলেন, সেখানে ব্যাপক পরিবর্তন লাগবে আমাদের মানসিকতার, আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোর। রাজউকসহ আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবর্তন লাগবে। আমাদের অনেক ফ্যাসিলিটিজ কিন্তু ধরে রাখা হয়েছে এই কোটা, সেই কোটায়।

আদিলুর রহমান খান বলেন, কোটার কারণে আমরা এতগুলো প্লট নিবো, কোটার কারণে আমরা এতগুলা প্লট করবো, সব কোটা উঠিয়ে দেন। জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন না কেন? লটারির মাধ্যমে কেন ঢাকা শহরের প্লট দেয়া হয় না? এই ফ্যাসিলিটিগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা বলেন, তরুণদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে, দরজাগুলো বন্ধ করে রেখেছে যেন তারা আসতে না পারে, সে দরজাগুলো খুলে দিতে হবে দেশের মানুষের জন্য, তরুণদের জন্য। ঢাকা শহর নোংরা হয়ে আছে, নিশ্বাস নেয়ার গাছ নাই। গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ঢাকা শহর শুধু কংক্রিটের শহর হয়ে আছে। এখানে পরিবেশ উপেক্ষিত হয়ে আছে, এটা আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে যদি পরিকল্পনা নিতে চাই তাহলে এটা এখনই করা উচিত। এরপরে করতে গেলে হয়তো বেশি দূরে হয়ে যাবে। তরুণরা আছেন, বিভিন্ন সংগঠন আছেন, নাগরিকদের বিভিন্ন প্রফেশনাল বডি আছে, তাদের সম্পৃক্ত করা দরকার।

আমাদের শহরগুলোকে সবুজ, গণবান্ধব ও শিশুদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে যেন তারা বড় হয়ে দেশকে গড়তে পারে বলেও জানান তিনি।

বিশেষ বক্তার বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ঢাকা কখনো তরুণ বা মানুষের হতে পারেনি। কারণ বাসযোগ্য শহর হিসাবে এখনও গড়ে উঠেনি। শুধু আমলা দিয়ে রাজউক চালানো যাবে না। এখানে তরুণদেরও যুক্ত করতে হবে। তাছাড়া শহরে মেগা প্রকল্প হলেই হবে না সবুজায়নও থাকতে হবে। কিভাবে বাসযোগ্য নগর তৈরি করা যায় তার পরিকল্পনা নিতে হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতিসংঘের আবাসন প্রতিনিধি গোয়ান লুইস, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদুর রহমান খান, রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব:)।

এই বিভাগের আরো খবর