দেশ

কিশোরগঞ্জে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই চলছে ঈদের কেনাকাটা

প্রতিনিধি,কিশোরগঞ্জ।।

 

আষাঢ়ে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই শেষদিনের মতো মার্কেটগুলোতে মানুষ ভিড় জমিয়েছে।কিশোরগঞ্জে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কেনাকাটা করছে মানুষজন।বুধবার (২৮জুন) সকাল সাড়ে সাতটা থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি,কখনো ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।দুপুর ১টার পর থেকে ভারী বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন রাস্তার পাশে বসা ভ্রাম্যমাণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।দেখা গেছে কেউ হাতে ছাতা,কেউ কেউ বৃষ্টিতে ভিজেই রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রয় করছেন।

 

সরেজমিনে গিয়ে মার্কেটগুলোতে দেখা যায়,ঈদ উপলক্ষে শেষদিনের মতো মানুষ কেনাকাটায় ব্যস্ত। বৃষ্টি মাথায় করেই চলছে মার্কেটের কেনা-বেচা।তবে বিভিন্ন কাপড়ের বড় দোকানগুলো থেকে রাস্তার ধারে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।বৃষ্টির মধ্যে ভিজে রাস্তার পাশে ছোট বড় ছাতা নিয়ে দোকানিরা বিভিন্ন বয়সের মানুষের কাপড়চোপড়,জুতা,কসমেটিকস ইত্যাদি বিক্রি করছেন।কেউ কেউ দাঁড়িয়ে অর্ধেক বৃষ্টিতে ভিজে ক্রেতাদের কাছে তাদের কাঙ্খিত দ্রব্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করছেন।ক্রেতাদের অনেককেই দেখা গেছে আগেই জামা জুতা কিনে ফেলেছেন।শেষ দিনে কসমেটিকস ও অন্যান্য টুকিটাকি কিনতে এসেছেন।

 

কথা হয় গৌরাঙ্গ বাজারের ব্রিজের পাশের কাপড় বিক্রেতা ফুটপাত ব্যবসায়ী সুমনের সাথে।তিনি বলেন,সকাল থেকে ৬হাজার টাকা বিক্রি করেছি।বৃষ্টি না এলে হয়তো আমার বিক্রি আরও ভালো হইতো।বৃষ্টিতে ভিজে তবুও মানুষ কেনাকাটা করছে।রাতে বৃষ্টি না এলে আমি ১৫ থেকে ২০হাজার টাকার কাপড় বিক্রি করতে পারবো আশা করি।

 

শহরের তেরিপট্টি কাপড়ের দোকানগুলোতে লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম।তবে ফুটপাতের দোকানগুলোতে মানুষের ভিড় ছিল।তেরীপট্টির ফুটপাত ব্যবসায়ী রুবেল বলেন,বৃষ্টি না এলে হয়তো কয়েকটা টাকা বেশি বেচতে পারতাম।সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে অনেক মানুষ মার্কেটে আসে নাই।দিন ভালো থাকলে ব্যবসাও ভালো চলতো।আজকেই শেষ দিন, কুরবানির ঈদ এই জন্য মানুষ অল্প কেনাকাটা করছে।

 

তেরিপট্টির সজিব গার্মেন্টসের মালিক সজিব আহমেদ বলেন,বৃষ্টির জন্য কাপড় কিনতে মানুষ মার্কেটে আসছে না।বৃষ্টি না থাকলে মার্কেটে মানুষ পা ফেলার মতো জায়গা থাকতো না।ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ অনেকটা এই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে মলিন হয়ে গেছে।আবহাওয়া ভালো হইলে রাতে বিক্রি বাড়তে পারে বলে মনে করি।

 

মার্কেটের অন্যান্য কাপড়ের দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,কুরবানির ঈদে মানুষ আরামদায়ক সুতি গজ কাপড় কিনছেন বেশি।দামি কাপড় ক্রয়ে ক্রেতাদের তেমন আগ্রহ নেই।আরামদায়ক সুতি কাপড় বিক্রি হয়েছে গত কয়েকদিনের চেয়ে তুলনামূলক বেশি।এছাড়াও কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদে বাচ্চাদের কাপড় কিনতেই এসেছেন।এইবছর কুরবানির ঈদে গরু কিনতেই মধ্যবিত্ত পরিবারকে হিমশিম খেতে হয়েছে।তাই বাজেটের মধ্যে কম দামে সবার জন্য জামাকাপড় না কিনলেও ছোট বাচ্চা ও পরিবারের বয়স্কদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে বৃষ্টির মধ্যেই বের হতে হয়েছে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button