
তাসলিমা আক্তার মিতু, কিশোরগঞ্জ।।
কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় বাধা দিলে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম, কিশোরগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আশফাক, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব বাছির উদ্দিন রিপন, জেলা যুবদলের পল্লি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার মুসা তানহা, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফুল ইসলাম মারুফ, সাইদুর রহমান, জুবায়ের ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন দিলু, হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে আলো, রাফিউল হোসেন নওশাদ, আলামিন ভূঁইয়া, রাকিব, জাকির হোসেন রাজিব, মো. তরিক মোমেন ও শওকত হোসেন।
মঙ্গলবার (১৮জুলাই) বিএনপি নেতা-কর্মীরা গুরুদয়াল কলেজ মাঠ থেকে পদযাত্রা বের করার পর রথখলা মাঠে আসার কথা থাকলেও রাস্তা পরিবর্তন করে পদযাত্রা করতে চায়। একপর্যায়ে পুলিশ বাধা দিলে হাতাহাতি ও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এরপর পুলিশ ৭৭ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিপেটা করে। তাতে দলটির শতাধিক নেতা-কর্মী ও ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, বিএনপির পদযাত্রার সময় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।