জাতীয়

কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় ৪ সিপাহী পুলিশ হেফাজতে

নিজস্ব প্রতিবেদক: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির ঘটনায় ৪ সিপাহীকে হেফাজতে নিয়ে জিঙ্গাসাবাদ করছে বিমান বন্দর থানা পুলিশ।

সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কাস্টম হাউজের গুদামের নিরাপত্তায় সিস্টেম ডিউটি করত এমন চার সিপাহীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আজ হেফাজতে নিয়েছি। চুরির ঘটনার বিভিন্ন বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সোনা চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে আমরা কাজ করছি।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সোনা চুরির ঘটনায় ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

বিমানবন্দরের সূত্র বলছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভেতরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। সোনার অলংকার ও সোনার বার মিলিয়ে প্রায় ৫৫ কেজি সোনা কাস্টমসের গুদামের একটি আলমারিতে বাক্সের মধ্যে সংরক্ষিত ছিল। সেই বাক্সটিই চুরি হয়েছে। আর কাস্টমসের গুদামের আলমারি ভেঙে চুরি করা হয়েছে বাক্সটি। কাস্টমসের গুদামে কাস্টমসের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। সুরক্ষিত এই গুদামে চুরি হলে কাস্টমসের কেউই করেছে। এর মধ্যে সোনার বার ছাড়াও ছিল সোনার অলংকার। চুরি যাওয়া সোনার দাম বর্তমান বাজারদরে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। পুলিশ ও অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সোনা চুরির ঘটনা তদন্তে কাজ করছে।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে চারটি শিফট কাজ করে। এই শিফটগুলোতে জব্দ হওয়া সোনা এক গুদামেই রাখা হতো এতো দিন। তবে স্বচ্ছতা আনার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ শিফট ভিত্তিক জব্দ হওয়া সোনা আলাদা আলাদা লকারে রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি নির্দেশ দেন, যে শিফট জব্দ করবে তাদের জব্দ করা সোনা তাদের লকারে থাকবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button