বিনোদন প্রতিবেদক: মৌসুমী অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিলো গত ঈদে জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ‘সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব’ এ উপস্থিত হয়েছিলেন মৌসুমী। সেখানে মৌসুমীর সঙ্গে দেখা হয় তার দুই প্রিয় বন্ধু নায়ক-সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ ও কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণার সঙ্গে। বাংলাদেশের প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি মা ও মেয়ের সঙ্গে আছেন। একজন সন্তানের কাছে মা’ই হলো পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। তাই মায়ের ভালোবাসার ছায়াতলে থেকে যেন প্রশান্তিতে আছেন মৌসুমী। প্রতিদিনই প্রতিক্ষণে মৌসুমী দেশকে, দেশের মানুষকে অনুভব করেন। যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন। তবে ঠিক কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন তিনি তা নিশ্চিত করেননি। মৌসুমী যখন যেখানেই থাকুন না কেন, মনে মনে তিনি একজন মানুষকে সবসময় খুঁজে বেড়ান। আর সেই মানুষটি হলেন তার গৃহশিক্ষিকা ‘আনা’। মৌসুমী যখন রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পড়তেন সেই সময় আনা মৌসুমীকে পড়াতে তার বাসায় আসতেন। আনা ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আনার সঙ্গে মৌসুমীর পরিবারের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিটি মানুষের জীবনেই হয়তো এমন মানুষ আছেন যাকে মানুষ নীরবে মনে মনে খুঁজে বেড়ান। মৌসুমী বলেন, পড়াশোনায় আমি খুব ফাঁকিবাজ ছিলাম। কিন্তু আনা ম্যাডাম আমাকে খুব যত্ন করে পড়াতেন। তিনি আমাকে ভীষণ স্নেহ করতেন, আদর করতেন। তার সেই স্নেহ মায়া আজও ভীষণ মিস করি। খুব কাছে থেকে তাকে ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। মনে হয় তার দেখা পেলে আমি হারিয়ে যাওয়া ছোট্টবেলাটা ফিরে পাবো। মাঝে মাঝে মনে হয় তিনি বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে দেখা হবে। দেখা হলে হয়তো জড়িয়ে ধরে আমি খুব করে কেঁদেও ফেলতে পারি। জানিনা এই জীবনে আর কোনোদিন আনা ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হবে কী না। তবে আমি দোয়া করি আনা ম্যাডাম যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। একজন গৃহ শিক্ষিকার প্রতি মৌসুমীর এমন টানই তার উদার মনের পরিচয় বহন করে। মৌসুমী তার কর্মক্ষেত্রেও তার সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার দিয়ে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন। দর্শক ভক্ত’সহ সকলের ভালোবাসায় তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রিয়দর্শিনী মৌসুমী।