জাতীয়দেশরাজনীতি

কমিশন গঠন করে ৭৫’র হত্যাকান্ড ৭৭’র বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী

বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ, দিনাজপুর:
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, মৃত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমার কোন নিয়ম নাই। সে জন্য আইন পরিবর্তন করে বা কমিশন গঠন করে ৭৫-এর হত্যাকান্ডে যারা সরকারের অন্তরালে থেকে পৃষ্টপোষকতা দিয়েছিলেন এবং ১৯৭৭ সালে বিচার বহির্ভূতভাবে সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের হত্যা ও লাশ গুম করার বিচার করা হবে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জেনারেল জিয়াউর রহমান এর সময় ‘গুম, খুন ও বিনা বিচারে হত্যা শুরু হয় এবং তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশে খুনের রাজনীতি শুরু করে।
তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া ও তার পরিবার রক্তপিপাসু। জিয়া খুনের রাজনীতি শুরু করেছিলো এবং সেখান থেকে তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান এখনও বঙ্গবন্ধুর রক্তের পেছনে লেগে আছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা করার পরিকল্পনা করে তারেক রহমান।  ‘গুম, খুন ও অগ্নি সন্ত্রাসকারী দল’ যাতে করে আগামীতে আর কখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকারও আহব্বান জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মায়ের কান্নার ‘মানবাধিকার’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খান।  বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, রংপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ও দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী ফুয়াদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন, ১৯৭৭ সালে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কর্পোরাল মোবারক আলীর কন্যা মমতাজ বেগম, চাকুরিচ্যুত কারাভোগী নরেশ জি রোজারিও, সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসেনের পুত্র নুরে আলম, অগ্নিসন্ত্রাসে অগ্নিদ্বগ্ধ ট্রাক চালক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ১৯৭৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হাজার হাজার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করে তাদের লাশ গুম করে। বক্তারা অন্যায়ভাবে ফাঁসি, কারাদন্ড ও চাকরিচ্যুত করার অপরাধে খুনি জেনারেল জিয়ার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান।
আলোচনা সভার আগে ‘গণদাবি-৭৭’ এবং ‘অগ্নি সন্ত্রাসের আর্তনাদ’ নামক দুইটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button