জাতীয়

‘আর একটাও রোহিঙ্গা নেব না, কিন্তু…’ । সময়ের চিত্র

মিয়ানমার থেকে আশ্রয়ের আশায় সীমান্তে আসা আর কোনো রোহিঙ্গাকে থাকতে দেয়া হবে না জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, তাদের মরতে দিতে পারে না বাংলাদেশ।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সহযোগীদের হাতে নির্যাতিত ও নিহত হওয়ার ভয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা, যাদের বেশির ভাগের বাস কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১ লাখ ৯৭ হাজার ১৫৬টি রোহিঙ্গা পরিবারের ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩০৯ সদস্য রয়েছে।

বিপুল এ জনগোষ্ঠীর বোঝা সইতে পারবে না জানিয়ে বিভিন্ন সময়ে তাদের জন্মভিটায় ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ, যা আলোর মুখ দেখেনি মিয়ানমারের অনীহায়।

বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সামরিক জান্তাশাসিত মিয়ানমারের বাহিনীর লড়াইয়ের মধ্যে বাংলাদেশে আবার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া গেছে, যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।

‘এটা খুব ডিফিকাল্ট সময়। আমাদের পলিসি হচ্ছে, আমরা আর একটাও রোহিঙ্গা নেব না, কিন্তু আমরা তো ওদের মারতে পারি না’, জবাবে বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

‘আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবস্থান নিয়েছে, আমরা এদের নেব না। কিছু কিছু যখন আসে, তখন আমরা চেষ্টা করি তা ম্যানেজ করার’, যোগ করেন দেশের শীর্ষ কূটনীতিক।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধের বিষয়ে বার্তা দেয়া হলেও তা কাজে আসছে না বলে জানান আবদুল মোমেন।

তার ভাষ্য, ‘আমরা মিয়ানমার সরকারকে বলেছি, তোমরা তোমাদের লোকগুলোর একজনকেও পাঠাবা না, কিন্তু (বিষয়‌টি) তাদেরও ক্ষমতার বাইরে।

‘ওখানে সংঘাত হচ্ছে, বাড়িঘর জ্বা‌লি‌য়ে ফেলছে। ভয়ে তারা পালাতে চায়।’

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে করা আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান কী, এখনও তা আমি জানি না। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে তারা অবশ্যই তাদের দেশে ফিরে যাবে। আমাদের এক নাম্বার অবস্থান, তাদের প্রত্যাবর্তন করতে হবে।

‘যেহেতু মিয়ানমার বলেছে তাদের লোকগুলোকে নিয়ে যাবে, কিন্তু আজ ছয় বছর চলছে, একটা লোককেও তারা নেয়‌নি। তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব আছে, কিন্তু আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, ত‌বে আমার কাছে কোনো স‌লিউশন (সমাধান) নেই।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button