নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা চায় না হাসিনা আবার ফিরে আসুক, হাসিনার সুঃশাসন আবার ফিরে আসুক। চাই না বলেই সমস্ত অভিজ্ঞতা দিয়ে বলছি। রাজনৈতিক দলগুলো সব সময় বাংলাদেশের ভালো করার চেষ্টা করে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, সরকারের অনেকেই অনেক কথা বলছে। এতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। আপনার ফোকাস এক জায়গা করেন। নির্বাচন কমিশন গঠন করে, প্রশাসন ঠিক করে নির্বাচনের দিকে যান। বাঁকি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে। আমরা বলেছি নির্বাচিত হলে সবাইকে নিয়ে জাতীয় সরকার করব।
টকশোর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, টকশোতে এমনভাবে কথা বলছে, মনে হচ্ছে ঘটনা ভিন্ন দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ভিন্ন দিকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা প্রতিরোধ করতে পারিনি বলে হাসিনার স্বৈরাচার এসেছিলো। রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এসেছিলো। আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারিনি বলে এসেছিলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের সময় রাজনৈতিক দলগুলো কিছু করতে পারিনি। এটা তো সত্য। আমরা মিছিল করেছি, আন্দোলন করেছি কিন্তু সরাতে পারিনি। শেষ মুহূর্তে ছাত্ররা ফাইনাল গোল দিয়েছে। এটা মেনে নিতেই হবে।
‘অন্তর্বর্তী সরকারের সবাই নিজ নিজ জায়গায় যোগ্য কিন্তু রাজনীতিতে তাদের অভিজ্ঞতা নাই। রাজনীতিতে একটা আলাদা ব্যাপার আছে। এটি একটি সাইন্স। এজন্য বলা হয়ে পলিটিকাল সাইন্স। এর আলাদা যোগ-বিয়োগ আছে, ইকুয়েশন আছে। এসব বুঝতে হবে রাজনীতিবিদদের। এজন্য আমরা রাজনীতিবিদ্যা বলছি দ্রুত নির্বাচন দেয়ার জন্য। বিএনপিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বলছি না। নির্বাচন না হলে সমস্যাগুলা বাড়বে।’
দেশে নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, সরকার সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। কারণ তার পলিটিকাল শক্তি নাই। নির্বাচিত সরকার থাকলে এসব সমস্যা সৃষ্টি করতে সাহস পেত না। বিশ্ববিদ্যালয় করার জন্য তিতুমীর কলেজের ছাত্র আন্দোলন করছে। ভালো কথা। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা ছিলো, তারা জানতেন না এটা হতে পারে। তাহলে কেনো আগে থেকে ব্যবস্থা নেয়া হলো না।
দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীর স্বার্থে আমরা নির্বাচনের কথা বলছি। বিএনপির স্বার্থে করছি না।