দেশ

আমতলীতে জমে উঠেছে ঈদের বাজার

সাফায়েত আল মামুন, আমতলী (বরগুনা)।।

কিছুটা দেরিতে হলেও জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার। শহরের এবং গ্রামগঞ্জের পারা মহল্লার দোকান এবং বিপনী বিতানে ক্রেতাদের উপচেপরা ভীর দেখা গেছে। এতে বেজায় খুশি বিক্রেতারা। দোকান এবং বিপনী বিতানে তরুনী এবং নারীদের ভির বেশী লক্ষ করা গেছে। এবছর মেয়েদের পোশাকের মধ্যে পাকিস্তানী, নুরস মনিকা, তাওয়াক্কেল, বিনহামিদ, ইন্ডিয়ান ফ্যাসনওয়াল, হান্ডুলিন, নাগবিন ও আলভিরা হিট আকারে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নারীদের শারী এবং পুরুষের পাঞ্জাবী ও কিশোরদের জামাও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর।

মঙ্গলবার সকালে শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের উপচে পরা ভীর। তবে নারী, কিশোরী এবং কিশোর ক্রেতার ভীর লক্ষণীয়। কাপড়েরর দোকানে নারী ক্রেতারা তাদের পছন্দের কাপড় খুজতে ছুটছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। শারী কাপরের মধ্যে এবছর আকর্ষনের মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান সাউথ কাতান, জর্জজেট, সানজানা কাবেরী, পুষ্পা, লেহেঙ্গা টাঙ্গাইল, রাজশাহী সিল্ক, ঢাকাই জামদানী। থ্রি পিসের মধ্যে রয়েছে তাওয়াক্কেল আগানুর, কার্জিবা, মমতাজ, পাকিস্তানী লোন, জর্জেট ও বোম্বে থ্রিপিস বেশী চলে।

শহরের আবদুল্লাহ সুপার মার্কেটে ঘুরে দেখা গেছে, এখানে ছোট বচ্চাদের গেঞ্জিসেট, জামা, জুতাসহ নানা আইটেম মালামাল বিক্রি হচ্ছে। এই মার্কেটে রয়েছে মেয়েদের কসমেটিকসসহ ইমিটেশনের গহনার দোকান। এসব দোকানেও রয়েছে প্রচুর ভীর। গহনা ও কসমেটিকস দোকানের মালিক মো. মাহবুব জানান, এবছর ইমিটেশনের গহনা ও কসমেটিকস প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা এক কিশোরী আফরানা জানান, দাম আগের তুলনায় একটু বেশী। তবে পছন্দের মাল পাওয় যাচ্ছে। বাচ্চাদের পোশাক বিক্রেতা মো. জয়নাল আবেদীন জানান, এবার ঈদবাজার জমে উঠায় বেচা বিক্রি অনেক ভালো।

সাকিব প্লাজা দোকানের অনন্যা ফ্যাশন হাউেিজের প্রোপাইটার ফেরদৌসি আকতার জানান, মেয়েদের নায়রা, গাউন, লেহেঙ্গা, সারারা, গারারা ও টিকটক প্রচুর পরিমানে বিক্রি হচ্ছে। কিশোরীদের এই পোষাক কেনার প্রতি নজর বেশী। এবং চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক।

আকন চত্ত্বরের আকন বস্া্ত্রলয় ঘুরে দেখা গেছে, এখানে শারী থ্রি পিস কাটাকাপরসহ সকল ধরনের পোশাকের সমাহার রহয়েছে। ক্রেতাও রয়েছে প্রচুর। এখানে বেশী বিক্রি হচ্ছে শারী এবং থ্রিপিচ। শাড়ীর মধ্যে রয়েছে ইন্ডিয়ান কাবেরী, পুষ্পা, লেহেঙ্গা টাঙ্গাইল, রাজশাহী সিল্ক ও ঢাকাই জামদানী। ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এগুলো। আকন বস্ত্রলয়ে শাড়ী কিনতে আসা টিয়াখালী গ্রামের নাজমা নামের এক নারী জানান, ১৩ হাজার টাকায় একটি কাবেরী শাড়ী এবং মেয়েদের জন্য থ্রিপিস কিনেছি। তবে দাম আগের তুলনায় অনেক বেশী। খুকু মনি নামে আরেক নারী জানান, মেয়েদের জন্য থ্রিপিস কিনেছি। দাম মোটমুটি নাগালের মধ্যে। এবছর অনেক নারীর আকর্ষনের রয়েছে স্বর্নের অলঙ্কারও। তবে অনেকে আবার পুরানো অলঙ্কার পলিশ করে একটু নতুন করে নিচ্ছেন। মার্কেট এবং বড় দোকানের পাশাপাশি ফুট পাতের দোকানেও রয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ভীর। বঙ্গবন্ধু সড়কের সরকারী কলেজের সামনে এবং সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বসা দোকানেও বিক্রেতারা ফুসরাত পাচ্ছেন না ক্রেতাদের চাপে। এখানে আসা এক নারী ক্রেতা বলেন, ভাই মোরা গরীব মানুষ মোগো আবার ঈদ। কোনো রহম ছেলেমেয়েদের একটু জামাকাপড় কিনে দিতে পারলেই হয়।

মাতৃছায়া বস্ত্রালয়ের প্রোপাইটার জিএম মুছা জানান, গত কয়েক বছলের তুলনায় এবছর বিক্রি অনেক ভালে। শাড়ী ত্রিপিস বেশী বিক্রি চলছে। তবে কাটা কাপড়ের চাহিদাও কম নয়।

ভাই ভাই গার্মেন্টস এর প্রেপাইটার মো. প্রিন্স জানান, এবছর পাঞ্জাবী এবং ছেলেদের গেঞ্জি বেশী চলছে। দাম আগের তুলনায় একটু বেশী। সাকিব প্ল্লাজার কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবছর বেচা বিক্রি ভালো। আশা করছি লাভের মুখ দেখতে পারবো।

আমতলী বনিক সমিতির সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ জানান, এবছর বেচা বিক্রি ভালো। অনেক ব্যবসায়ী ধার দেনা এবং ঋণ করে দোকানে মাল তুলেছেন। আশা করি সবাই লাভ করতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button