মেহেদী হাসান,খুলনা :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের মানুষের পাশাপাশি সক্রিয় ছিলেন প্রবাসীরাও। কোটাবিরোধী আন্দোলন ও বিক্ষোভ মিছিল করার অভিযোগে তিন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবনসহ অর্ধশতাধিক বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি আদালত। তাদেরকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ দূতাবাসকে দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে খুলনার বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা ব্লাড ব্যাংক, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি, আজদিকা ফাউন্ডেশন, কাম ফরানপ্রিলিজড চাইল্ড খুলনা, এনআরবি খুলনা ও নিজেদের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ব্যানারে অসংখ্য প্রবাসী ও প্রবাসীদের স্বজনেরা।
অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিবাদন জানিয়ে বক্তারা বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মিছিল করায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবজ্জীবন সহ বিভিন্ন মেয়াদে ৫৭ জন সাজা পাওয়া প্রবাসীকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশন সহ দূতাবাসকে দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সকল প্রবাসীদের এয়ারপোর্ট বিশেষ মর্যাদা দিতে হবে। সকল প্রবাসীকে সরকারি ভাবে (প্রবাসী মাসিক বেতন ভাতা কার্ড) প্রদান করতে হবে। সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা প্রদান করতে হবে। এই সুযোগ যারা পাবেন । (প্রবাস কাল নুন্যতম ৫ বছর হতে হবে)। সকল প্রকার প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। প্রেরিত রেমিট্যান্সের উপর নুন্যতম ৫% প্রনোদনা নিশ্চিত করতে হবে এবং রেমিট্যান্স পাঠানো সহযোগী করন। বৈধ অথবা অবৈধ প্রবাাসীর মৃত্যু হলে লাশ দ্রুততার সাথে সরকারি খরচে বাংলাদেশে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার সাথে সাথেই ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের নির্ধারিত অর্থ নগদ/ব্যাংকে জমা করতে হবে। এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের সম্মান করা, সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, লাগেজ কেটে মালামাল চুরি না করা, লাগেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন দেশে অবৈধ বাংলাদেশি প্রবাসীদের বৈধতা করন করার জন্য বাংলাদেশি দূতাবাসকে অপ্রানি ভুমিকা পালন করতে হবে। বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশিরা অবৈধ প্রবাসীদের বৈধতা করনে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে কাজ দিয়ে দূতাবাসের সাথে যৌথ ভাবে অপ্রানি ভূমিকা পালন করতে পারে। যাতে করে বাংলাদেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেশি আসে। সকল দূতাবাস গুলোকে সম্পুর্ণ রাজনৈতিক মুক্ত রাখতে হবে। সুন্দর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে দ্রæততার সাথে সকল প্রবাসী সেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রবাসী সেবা ইচ্ছে করে বিলম্ব করা যাবে না। দূতাবাসে ঘুষ দিয়ে বা স্বজনপ্রীতি করলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বেশীর ভাগ বিদেশগামিকে যে কাজ বা কথা দিয়ে পাঠানো হয়, তা পরবর্তীতে মিলে না – এটা বন্ধ করতে হবে। তারা আগ থেকেই জানবে ও নিশ্চিত হবে কি কাজ ও কত বেতনে তারা বিদেশে যাচ্ছে। বিদেশে পাঠানোর আগে ঐ কাজের উপর কমপক্ষে ৩-৬ মাসের ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে পাঠাতে হবে। তাতে তাঁদের আয় ও দেশের রেমিটেন্স বাড়বে। প্রবাসীদের প্রবাস থেকে ভোট দেয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়া।
এই বিভাগের আরো খবর