আজ হলি আটিজানে হামলার ৮ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস ঘটনা হলো হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার আজ ৮ বছর।

২০১৬ সালের ১ জুলাই (শুক্রবার)। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলি, সশস্ত্র হামলাকারী এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে বিদেশী নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে। ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনায় স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতিকে।

ওই দিনের হামলায় মোট ২২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিক ছিল। ওই দিন পুরো রাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও অভিযান চালোনো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

হলি আর্টিজানে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্সসহ প্রথমে পৌঁছান গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস।

মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন গুলশান থানার রোড নম্বর-৭১ থেকে ৯২ এবং এর আশপাশ এলাকায় পেট্রোল ডিউটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওয়্যারলেসে ভেসে আসে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে গুলির খবর। খবর পেয়েই ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসআই রিপন।

হলি আর্টিজানের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কতিপয় সন্ত্রাসীরা ‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করছে।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে এসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এসআই রিপন কুমার দাস বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।

এই বিভাগের আরো খবর